বিশেষ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মঙ্গলখালী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামরুল হোসেন মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান পেয়ে মরতে চান। তিনি সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসাবে ২নং সেক্টরের মেজর এটিএম হায়দার ও মেজর খালেদ মোশারফের অধীনে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তাঁর সঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধারা হলেন ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান, সুবেদার তোফাজ্জল হোসেন ও সুবেদার আলী আকবর পাটোয়ারী। অনেক দেন দরবার আর আবেদন নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে তিনি এখন নিশ্চুপ হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ এ পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অন্তত একটি প্রমাণ আর তিন জন মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষী পাওয়া গেলে সেই মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ঘোষণার পর থেকে কামরুল হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামরুল হোসেন। তাঁর তিন ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার। বয়সের ভারে তিনি ন্যুব্জ। ছেলেরা দিন মজুর। এক ছেলের স্বল্প আয়ে তার সংসার চলে কোন রকম। অপর দুই ছেলে সংসারে কোন খরচ দেননা। তারা স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আলাদা থাকেন। অতি কষ্টে সংসার চলে স্বীকৃতি না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হোসেনের । বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হোসেন বলেন, প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আমি এখনো পরাধীন রয়ে গেছি। মৃত্যুর আগে আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সম্মান পেয়ে মরতে চাই।
Leave a Reply