মুগ্ধ খন্দকার
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস বিশাল পরিসরে পালন করে আসছে মানুষ। ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কারন ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্মম হামলা শুরু হয় যা অপারেশন সার্চলাইট নামে আমাদের কাছে পরিচিত।২৫ শে মার্চ রাত আনুমানিক ১১.৩০ এর দিকে শুরু হয় এই নির্মম হত্যাকাণ্ডগুলো। সেদিন ওই নরপিশাচদের পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া তরুন প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়া ও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা। আর এই পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের জনগণের উপর আতর্কিত হামলা চালানো শুরু করে। আনুমানিক ২৬ শে মার্চ রাত ১:৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু কে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পিছনের কারন তিনি কিছুক্ষন আগে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ওয়ারলেসের মাধ্যমে যে, “আজকে থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।” অর্থাৎ আজ থেকে আমরা আর পাকিস্তানের অংশ হিসেবে থাকব না। আমরা স্বাধীন হয়ে গেছি। । তাই ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। তবে কিন্তুটা একটা জায়গায় যে, দেশে পাকিস্তানীরা তখন বিরাজমান আর আমরা এখন স্বাধীন বললেই কি পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দেবে? , সেদিন সেই সময় থেকেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় আর দীর্ঘ ৯ মাস পর আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করি আর ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানীরা তাদের পরাজয় স্বীকার করে তাই ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস।
Leave a Reply