শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

দেশে নতুন করে আবারও উচ্ছৃঙ্খলতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে- তথ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০৭ Time View

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে নতুন করে আবারও উচ্ছৃঙ্খলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে ভাস্কর্য নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে। এই দেশ অস¤প্রদায়িক দেশ। এই দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকলের সমঅধিকার আছে। সকলের মিলিত রক্ত¯্রােতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায়, যারা দেশকে আবার মধ্যযুগে নিয়ে যেতে চায়, তারা হচ্ছে বিএনপি এবং তাঁদের দোসর।। সুতরাং তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর হামলা চালানোর ঘটনার ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, যেকোনো ইস্যু সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবমাননা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পোমরা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দুল আলম তালুকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আ.লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য জহির আহমদ চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন মুন্সির সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল কবির গিয়াসু, আকতার হোসেন খাঁন, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, এমরুল করিম রাশেদ, আবু তাহের, মাওলানা আইয়ুব নূরী, পৌরসভার কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন, পোমরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. নাছের, যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কৃষকলীগ সভাপতি মমতাজ মিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফেরদৌস আক্তার, ছাত্রলীগ সভাপতি আকতারুজ্জামান আজাদ প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, “ আন্দোলন সংগ্রামের সময় পোমরা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আ.লীগের যখন প্রতিকূল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, যখন দেশকে অগ্নি সন্ত্রাস আগুন বোমা নিক্ষেপ করে দেশকে উত্যক্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছিল, মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছিল, তখন পোমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই সম্মেলনের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে, তাদের অনুরোধ জানাবো, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। শক্তিশালী সংগঠনের কোনো বিকল্প নেই। আর এখন সকলে আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। আমাদেরকে সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় দরকার নেই। সুতরাং যারা অতীতে অন্য দলের সাথে যুক্ত ছিল, যারা চাদাবাজি, অপকর্মের সাথে জড়িত। যারা অন্য দলের পক্ষ হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তাদের দলে নেওয়ার দরকার নেই। নেতৃত্বে আসবে তারাই, যারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করে আসছে, যারা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছে, দলের পাশে ছিল তারাই নেতৃত্বে আসবে। নেতৃত্বের আসনে বসানোর ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি হচ্ছে তিনি দলের প্রতি কতটা বিশ্বস্ত , তিনি কতদিন ধরে দল করছেন এবং দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন কিনা, এসবই হচ্ছে নেতৃত্বের মাপকাঠি। কার কত পয়সা আছে, সেটা কোনভাবেই নেতৃত্ব দেওয়ার মাপকাঠি নয়। আমাদের দল গণমানুষের দল, যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ তারাই নেতৃত্বে আসবেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category