গোপালগঞ্জে দায়িত্ব নিলেন সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও তরুণ আইসিটি ব্যবসায়ী মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল। সোমবার (৩ জুন) বেলা ১১ টায় সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নবনির্বাচিত ও বিদায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানে সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চুর নিকট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন।
এছাড়া নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান সুশীল বিশ্বাস শিপন দায়িত্ব বুঝে নেন। এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিরুন্নাহার ইউসুফ টানা তৃতীয়বার একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। পরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার প্রথম দিন গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল তার নির্বাচনী ওয়াদার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, গোপালগঞ্জের বেকার সমস্যাকে আমি সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের দেশের জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিনত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আইসিটি সেক্টরে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করেছি। এ সেক্টরে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দেশে ১৫ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমি যেহেতু আইসিটি’র মানুষ।আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গোপালগঞ্জের বেকার সমস্যা সমাধানে আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
আমি আশাবাদি সবার সহযোগিতা নিয়ে আমার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে সফল হবো। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহসিন উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লূৎফার রহমান বাচ্চু, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান সুশীল বিশ্বাস শিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফ সহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিদায়ী ও বরণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদের আওতাভুক্ত ২১ ইউনিয়ন পরিষদের কোন চেয়ারম্যান বা তাদের কোন প্রতিনিধিকে উক্ত সভায় উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহনের অনুষ্ঠানে মুহূর্তের মধ্যে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। ফুলের শুভেচ্ছা ও ফটোসেশনে উপভোগ্য হয়ে ওঠে সম্মেলন কক্ষ।
Leave a Reply