শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

লক্ষ্মীপুরে আঁটটি মামলার আসামি সুমনের বার্ষিক আয় নেই

সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর
  • Update Time : শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৭৫ Time View

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী মো: মনজুর হোসেন সুমন যুবলীগ নেতা মনু মিয়া হত্যাসহ ৮ টি মামলার আসামি। তিনি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী হলেও তার কোনো বার্ষিক আয় নেই।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা যাচাই করে শুক্রবার (২৩ সেপ্টম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সুমন জেলা পরিষদের রায়পুর উপজেলায় সদস্য প্রার্থী। তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাজু এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড এস এম কর্পোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী।

এই দিকে একই উপজেলা থেকে সদস্য প্রার্থী এ বি এম ইয়াহিয়া বিন জাকারিয়া মামুনের বার্ষিক আয় দশ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে আদালত কিংবা থানায় কোনো মামলা নেই। তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাকারিয়া অ্যান্ড সন্স ও ভূতের বাড়ি ফুড অ্যান্ড কাবাবের স্বত্ত্বাধিকারী।

নির্বাচনের হলফনামা যাচাই করে বিষটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামুন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। সুমনের হলফনামা সূত্র জানা যায়, সুমনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, ৩টি হত্যা চেষ্টা মামলা, চাঁদাবাজি ও চুরিসহ ৮ মামলা লক্ষ্মীপুর আদালতে রয়েছে। বার্ষিক আয় শূন্য দেখানো হয়। তার কাছে নগদ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা ও ব্যাংকে জমা আছে ৫০ হাজার টাকা। তিনি ২২ লাখ টাকার টয়োটা কার ব্যবহার করেন।

গাড়ির জন্য রায়পুর পূবালি ব্যাংক থেকে নেওয়া দশ লাখ টাকার ঋণের সাত লাখ ৬১ হাজার ৫৬৯ টাকা এখনো অপরিশোধিত রয়েছে।তিনি কাছে ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও ৪০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করছেন। তার কাছে ৫০ হাজার টাকার আসববাবপত্র রয়েছে। তিনি হলফ নামায় সম্মানী ভাতা দুই লাখ ৩৮ হাজার ৩৩০ টাকা ও অন্যান্যতে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৯ টাকার কথা উল্লেখ করেছেন।

তবে তিনি স্ত্রীর কাছে জমা টাকা, স্বর্ণালংকার ও সম্পত্তির বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেননি হলফনামায়। মামুনের হলফনামায় দেখা যায়, তার কাছে নগদ ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা ও ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৩০২ টাকার বীমা রয়েছে। তিনি ১৩ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কার ব্যবহার করেন। তার কাছে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৬০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী রয়েছে।

তার নামে ৫৫ হাজার টাকার কৃষি ও ১০ হাজার ৮২৫ টাকার অকৃষি জমি আছে। তার একটি একতলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন রয়েছে। ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্রের মালিক তিনি। তার ব্যবসার মূলধন হচ্ছে বিশ লাখ টাকা। এই ছাড়া মামুনের স্ত্রীর কাছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে।

তিনি ৩০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করেন। ব্যবসার কাজে তার মূলধন ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮২ টাকা। তিনি ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্রের মালিক। বক্তব্য জানতে মনজুর হোসেন সুমনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

হলফনামায় মনজুর হোসেন সুমনের বার্ষিক আয় শূন্যের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন কিছু জানাতে পারেননি। এই কর্মকর্তা বলেন, হলফনামার ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ স্যার জানেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category