monetag
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে গোপালগঞ্জে ৮৯ হাজার পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য দেওয়া হবে। মূলতঃ দুই দফায় এ সকল পণ্য সামগ্রী পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে।
আজ শনিবার (১৯ মার্চ) বিকালে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ “স্বচ্ছতা’য় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বিষয়টি তুলে ধরেন।জেলায় মোট ৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা, মসুরের ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা ও চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।
আগামীকাল রোববার (২০মার্চ) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজির বাজার এলাকায় ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। গোপালগঞ্জে সদর উপজেলায় ২৪,৯৬০টি পরিবার, মুকসুদপুরে ২৪,৫৭১, কোটালীপাড়ায় ১৯,৩২৫, কাশিয়ানীতে ১৩,১৪৫ এবং টুঙ্গিপাড়ায় ৬,৪০৪টি পরিবার পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ২লিটার সয়াবিন তেল, ২কেজি মসুরের ডাল, ২কেজি চিনি সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।
কেবল মাত্র পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পআয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হবে। পণ্য বিক্রয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করতে অনুরোধ জানান তিনি।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, অতিসম্প্রতি নিত্যপণ্য সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিসিবি’র পণ্য গোপালগঞ্জে ৮৯,১০৫ টি পরিবার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইলিয়াছুর রহমান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলও মো.মহসিন উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন খান, গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, রবীন্দ্র অধিকারী
শেখ মোস্তফা জামান, মিজানুর রহমান মানিক, বুলবুল আলম বুলু সহ জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা করোনাকালীন সময়ে জেলায় পারিবারিক কার্ড প্রচলনের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের নিকট সরকার প্রদত্ত করোনাকালীন সহায়তা পৌঁছে দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন। পরবর্তীতে এই পদ্ধতি ব্যাপক সমাদৃত হয়। সেই আদলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পারিবারিক কার্ড তৈরি করে সেগুলোর মাধ্যমে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন দ্রব্যাদি বিতরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
Leave a Reply