মোরা একটি ফুলেকে বাচাব বলে যুদ্ধ করি। মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি,, ফিলিস্তিনিরাও অস্ত্র ধরেছিল এখনও স্বাধীনতার জন্য অর্ধ শতাব্দী ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি।
লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি ঘর বাড়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়েছে।লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি প্রান হারিয়েছে।ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত একজীবন সংগ্রাম করেও অবশেষে মৃত্যু বরণ করলেন।
কিন্তু ফিলিস্তিন স্বাধীন হয়নি।আর কখন যে স্বাধীন হবে তাও নিশ্চিত না। কারণ ফিলিস্তিনে শেখ মুজিবের মত নেতার জন্ম হয়নি।হিযবুল্লাহ বা হামাসের রকেট আক্রমনে ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে না।
শেখ মুজিবর রহমানের মত একজন নেতাই পারে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এনে দিতে। এমন নেতার জন্ম কি ফিলিস্তিনে হবে ? আমি ব্যক্তিগত ভাবে আওয়ামী লীগ বা কোন দল করি না।
কিন্তু আমার দীর্ঘ গবেষনা বলছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর বিশ্বে শেখ মুজিবরের মত আর কোন নেতার জন্ম হয় নি। তাই কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, আরাকান, চীনের উইঘুর অধ্যুষিত এলাকা, কুর্দিস্হান, শ্রীলংকান তামিল সহ আরো অনেক জাতি স্বাধীন হতে পারেনি।
অথচ কাশ্মীরকে লজিষ্টিক সাপোর্ট করার মত পাকিস্তানের মত একটি শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্র ছিল।ছিল না শুধু শেখ মুজিবরের মত একজন নেতা।কুর্দী গেরিলাদের সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাঈল।তারপর একমাত্র নেতৃত্ব শুন্যতার কারণে কুর্দীরা এখনো অসফল।তামিল নেতা প্রভাকরণ কেবল যুদ্ধ করেই স্বাধীন হতে চেয়েছিলেন।
তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর মত রাজনৈতিক রণকৌশল ও দৃড়তা ছিল না।তাই জীবন দিয়েও স্বাধীন তামিল রাষ্ট্র দেখে যেতে পারেন নি। ৭৫ পরবর্তী স্বাধীন হওয়া দেশ গুলোর মধ্যে সোভিয়েত রাজ্য গুলো যুদ্ধ ছাড়াই স্বাধীন হয়েছিল।
অনেকটা আপোষমুলক স্বাধীনতা। বসনিয়া হার্জগোবিনিয়া, ক্রোয়েশিয়া কোন নেতার কারণে স্বাধীন হয়নি। তারা জাতিসংঘের তৎপরতায় ও রাশিয়া বিরোধী হওয়ার কারণে স্বাধীন হয়েছিল।
দক্ষিন সুদান খৃষ্টান অধ্যুষিত বলেই যুক্তরাষ্ট্রের কৃপায় স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১ নং পরাশক্তি আমিরিকা, ৪ নং পরাশক্তি চীনের মদদপুষ্ট মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য যে সমস্ত নিয়ামক উপাদান প্রয়োজন ছিল তার সব কিছুর সংগ্রহ ও সমন্বয় সাধন করতে পেরেছিল একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আর তাই বাংলাদেশ অতি দ্রুততার সাথে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।একথা বঙ্গবন্ধুর দুশমনও স্বীকার করে কিন্তু রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কারণে তা প্রকাশ করে না।
অনেককেই বলতে শুনি, ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, একজন ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইলে মানুষ ৫/১০ টাকা সাহায্য দিয়ে কেটে পড়ে।
আর একজন বিপদে পড়া প্রানপ্রিয় বন্ধু সাহায্য চাইলে মানুষ লক্ষ টাকা সাহায্য দেয়। দুটি সাহায্যের ধরন সম্পুর্ণ আলাদা। একটি ভিক্ষুকের হাত আর অন্যটি বন্ধুর হাত।এই বন্ধুত্ব সৃষ্টি করতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধু।
Leave a Reply