খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙ্গা উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনেও সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে কয়েক’দফা বাজারের বিভিন্ন অলিগলি টহল দিতে দেখা গেছে। মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট । এ সময় রাস্তাঘাট ছিলো অনেকটাই ফাঁকা।
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী ও জরুরি সেবাদানকারী যান চলাচল করছে। বাজারের শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে- নিত্যপয়োজনীয় পণ্যের দোকান। সরকারের জারি করা ১৩ দফা বিধিনিষেধ সংক্রান্ত জনসচেতনতা বাড়াতে আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে পুরো মাটিরাঙ্গায় চলছে পুলিশের প্রচার-প্রচারণা।
এতে স্থানীয় জনগণ মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ ও মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম হুমায়ুন মোর্শেদ খান বলেন, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী অত্যন্ত ভালো লোক। ধনী গরীব ভেদাভেদ নেই, সকলের সাথে খুব সহনশীল আচরণ করে,চলাফেরা একেবারে সাধারণ জনগণের মতো,ছোট বড় সকলের সাথেই ভালো নম্র ভদ্র আচরণ করে থাকেন। তবে অন্যায়কারী ও মাদকের সাথে যাঁরা সম্পৃক্ততা তাদের সাথে কোন আপোষ করেন না তিনি, এমন একজন অফিসার পেয়ে মাটিরাঙ্গাবাসী সত্যিই ভাগ্যবান।
মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান, লগডাউন বাস্তবায়ন ও মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে আন্তরিকতার সাথে প্রতিদিনই মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। চেষ্টা করছি মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে এই মহামারী থেকে রক্ষা করতে, মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে লগডাউন বাস্তবায়ন করতে। সরকার ঘোষিত এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে, বলেও জানান ওসি মোহাম্মদ আলী ।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জয়নাল আবেদীন,এস আই মোজাম্মেল হক,এস আই সাদ্দাম হোসেন,এস আই মাহমুদুল হাসান ইরফান, এ এস আই সুমন সর্দার ও তাদের সংগীয় ফোর্স।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম হুমায়ুন মোর্শেদ খান।
Leave a Reply