monetag
মাগুরা সংবাদদাতাঃ মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া ইউনিয়নের বরইগ্রামে মধ্যপাড়ার গরিব কৃষক ইবাদত মোল্লা নিজের সামান্য কিছু জায়গা জমি ছিল সেখানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করতেন। কৃষি উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে সেখান থেকে থেকে অল্প অল্প টাকা জমিয়ে ও নিজের স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে অন্য একজনের সঙ্গে মিলে একটা ট্রাক্টর ক্রয় করেন। নিজের জমি ছাড়াও আশেপাশে অন্য চাষিদের জমি চাষ করে বাড়তি কিছু রোজগারও আসে, এই নিয়ে ভালোই চলছিল সাতজন সদস্যের সংসার।
গ্রামে একটা কথা প্রচলন আছে “ইঁদুরের ধান খায়, বিড়ালের চোখ টাটায়” অর্থাৎ একজনের ভালো অন্য একজন সহজে মেনে নিতে পারে না। ঠিক তেমনি একই গ্রামের বিল্লাল মেম্বার এর নেতৃত্বে ইদ্রিস মোল্লা, তারিকুল মোল্লা, রবিউল বিশ্বাস, ওদুদ মোল্লা, রূপো মোল্লা এরা সম্মিলিতভাবে গরিব কৃষক ইবাদত মোল্লার কিছুটা অর্থনৈতিক সচ্ছলতা মেনে নিতে পারেননি। নানাভাবে ট্রাক্টর নিয়ে বাড়িতে ঢোকার পথ দিয়ে চলা চলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন, কখনো ট্রাকটারের যন্ত্রাংশ শত্রুতামূলক ভাবে চুরি করাচ্ছে। কখনোবা পার্শ্ববর্তী বারাশিয়া গ্রামের রজব বিশ্বাস এর মাধ্যমে নানা ধরনের হুমকি ধামকি ও টাকা দাবি করছেন বলে ইবাদত মোল্লা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় একমাত্র রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইবাদত মোল্লার পরিবার নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছেন। অন্যদিকে ইদ্রিস মোল্লা ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা আনন্দে তালি বাজাচ্ছেন, ইদ্রিস মোল্লাকে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান ” ট্রাক্টর চলাচল করায় আমাদের মসজিদে যেতে সমস্যা হয়, সেজন্য আমরা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।” ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখা যায় ইবাদত মোল্লা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রকৃত আওয়ামী লীগের দলে যোগ দেয়ায় তারা পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান ” আমি কয়েকবার সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার পরও, কোন পক্ষই মেনে নিচ্ছে না, যেহেতু এটি সরকারি পথ সেহেতু যে কেউ এই পথে চলাচল করতে পারবে, কেউ বাধা দিলে সেটা আইন সম্মত হবে না।”
এলাকাবাসী মনে করেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিলে একটা পরিবার বেঁচে যাবে।
Leave a Reply