বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
থাইল্যান্ড চাইলে আমাদের সমুদ্র সৈকতে জায়গা দেবো : প্রধানমন্ত্রী এআই ব্যবহার করে যেভাবে ফ্রিতে ছবি-ভিডিও এডিট করবেন ইনস্টাগ্রামে ভিডিও এডিটিংয়ে যেসব অ্যাপ ব্যবহার করবেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজকে শোকজ ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন : আ.লীগের মনোনয়ন কিনলেন ২৫ জন মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন ইমাম, পুকুরে ডুবে ২ সন্তানের মৃত্যু ফরিদপুরে ২ সমবায় কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আগৈলঝাড়া রামশীল খাল থেকে নিখোঁজ হওয়া ১৮ মাসের বাঁচ্চার ভাসমান লাশ উদ্ধার নড়াইলে মাইজপাড়া ও কলোড়া ইউপি নির্বাচন-২০২৪ এর ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এগিয়ে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সারা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিশোর-কিশোরী ক্লাব

 হাফিজুর রহমান
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৮২ Time View

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা, উপজেলার প্রত্যকটি পৌরসভা ও ইউনিয়নে সরকারী কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে।

২০১৮ সালে চালু হয় সরকারি কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্প।দেশের প্রতিটি জেলায় ক্লাব চালু করেছে সরকার।এগিয়ে যাচ্ছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব।

প্রকল্পের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সকল জেলায় ২ জন করে ক্লাবের জেলা ফিল্ড সুপারভাইজারদের পরিদর্শন ও তদারকির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।সারা বাংলাদেশে এই পর্যন্ত সরকার ৪,৮৮৩ টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব সরকারিভাবে চালু করেছে। অন্যন্য জেলার মত চুয়াডাঙ্গা জেলায় কিশোর-কিশোরী ক্লাব মোট ৪৫ টি।

চার উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১ টি করে সরকারি কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে। গত ৮ ই এপ্রিল ২০২১ হইতে করোনা ভাইরাসের জন্য আপাতত বন্ধ হয়ে যায় সকল ক্লাবের কার্যক্রম।

সেই সাথে সমাজে বেড়ে যাচ্ছে বাল্যবিবাহ ও কিশোর অপরাধ। জানা গেছে, পয়েলা জানুয়ারী ২০১৮থেকে প্রতিটি জেলা-উপজেলার ইউনিয়নের কাছাকাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিটি ইউনিয়নের/উপজেলার কাছাকাছি হাই স্কুল থেকে ১০ জন কিশোর ও ২০ জন কিশোরী নিয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ক্লাবের সকল সদস্য ৮ম শ্রেণী থেকে ইন্টার-মিডিয়েট ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রী। দেশের সকল জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ (ইউএনও) পদ সংখ্যার উপর নির্ভর করে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেন।

সরকারি ক্লাব গুলার উপদেষ্টা হিসাবে আছেন স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের হাজী আলী আজগর টগর এমপি।

উপজেলা ক্লাবের সভাপতি হিসাবে আছেন প্রতি উপজেলার ইউএনও মহদয় এবং ক্লাব কমিটির সদস্য আছেন প্রতিটি জেলার ফিল্ড সুপারভাইজার।

সরকারি নিয়ম, আইন নীতিমালা মেনে পরীক্ষা ও ভাইবার মাধ্যমে জেন্ডার-প্রোমোটার, সংগীত শিক্ষক ও আবৃতি শিক্ষক চূড়ান্ত নিয়োগ পান।

জেন্ডার-প্রোমোটারগণ কিশোর-কিশোরীদের জেন্ডার ও সমতা ভিত্তিক সমাজ গঠন সম্পর্কে ক্লাবে ক্লাস নেন। কিশোর অপরাধ থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবে এবং দেশকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করতেন।

এছাড়াও ক্লাব ভিত্তিক বাল্যবিয়ের বিরদ্ধে সমাজের মানুষের মাঝে জনসচেতন সৃস্টি করছে কিশোর কিশোরী ক্লাব।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এগিয়ে, সরকারের ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এগিয়ে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলা সহ সকল জেলার সরকারি কিশোর কিশোরী ক্লাব।

শুধু তাই নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক নানা কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সে আলোচনা করা হয় দেশের প্রতিটি ক্লাবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অগ্রাধিকার ভিত্তিক কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্প। সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছে।

সমাজের ভালো-মন্দ দিকসহ যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয় ক্লাবে। ছেলে-মেয়েদের মানসিক আনন্দের জন্য সংগীত শিক্ষক আর কণ্ঠ অনুশীলন শিক্ষার আবৃতি শিক্ষক শেখান।

করোনা-ভাইরাসে কোভিড-১৯ জন্য কিশোর-কিশোরীদের কথা চিন্তা করে তারা যেন করোনায় আক্রান্ত না হয় সেজন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ক্লাব বন্ধ করে দেয়।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপন চিঠির মাধ্যমে ক্লাবের সকল কায্যক্রম আপাততঃ বন্ধ করে দেয়। এই করোনাকে ভর করে সমাজে বাড়ছে বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্ত, ইভটিজিং ও কিশোর অপরাধসহ নানা খারাপ কাজ।

স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় কিশোররা খারাপ সঙ্গ পেয়ে নানা ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে যাচ্ছিল।কিশোরী মেয়েরা প্রতিনিয়ত বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে।

মোবাইলে একজন জেলা সুপারভাইজার ও জেন্ডার-প্রমোটারের সাথে কথা হলে তিনি আমাদের জানান, আমরা খুবই সুন্দরভাবে ক্লাব পরিচালনা শুরু করেছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে করোনার প্রকট থাবায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু তারপরেও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, এবং কিশোর অপরাধ, কিশোরী ইভটিজিং, মাদক, যৌতুক থেকে কিভাবে কিশোর-কিশোরীদের বিরত রাখা যায় সেই বিষয়ে আমরা সব সময় কাজ করছি।

বাংলাদেশের সকল জেলার সকল ক্লাব খুলে দেওয়াতে কিশোর -কিশোরীরা আস্তে আস্তে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। ক্লাবের বিশেষ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল ফিল্ডে বাল্যবিয়ে ঠেকানো।

প্রতিটি জেলার ফিল্ড সুপারভাইজারগণ কিশোর -কিশোরীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য নিয়মিত কিশোর -কিশোরীদের সাথে তদারকি করছে সরাসরি।

এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক(অঃদাঃ) মাকসুরা জান্নাত স্যারের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে জানান, আমরা সরকারী নির্দেশনা পেয়েছি এবং আমার জেলার সকল ক্লাবের কার্যক্রম আছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় মোট ৪৫ টি সরকারি কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে। ইতিমধ্যে আমরা গত বছর ২০২০ করোনার ভিতর ২০ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদে অপরাধীদের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।

২০২১ সালে এসেও আমার জেলার কিশোর কিশোরী ক্লাব সদা তৎপর সচেতন আছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নিরলাসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জেলা ফিল্ড সুপারভাইজার এম কাবিল উদ্দিন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কিশোর -কিশোরী ক্লাবের ফিল্ড সুপারভাইজার আরও বলেন, তৃণমুল পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে কিশোর -কিশোরী ক্লাব বদ্ধপরিকর।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে সরকার ন্যাশনাল হেল্প লাইন নং ১০৯ এর ব্যবস্থা করেছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কল করতে কোন টাকা লাগে না।

বাল্যবিবাহ যে জেলায় ঘটুক না কেন নিকটস্থ উপজেলা প্রশাসন অথবা ফ্রি ১০৯ নাম্বারে অথবা জেলা সুপারভাইজারদের জানাতে পারবেন।

দেশ, জাতি এবং বাল্যবিবাহমুক্ত সমাজ গঠনে কিশোর-কিশোরী ক্লাব সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে জনবল ও ক্লাবগুলিকে সরকারিকরণ করবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনটাই প্রত্যাশা করে দেশের প্রত্যক ফিল্ড সুপারভাইজারগণ।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category