পেকুয়া প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি প্রতারক চক্রের শিকার হয়েছে এক অসহায় পরিবার। জমি ক্রয়ের নামে বায়নানামা সম্পাদন এবং খালি ষ্ট্যাম্পে দস্তখত নিয়া বায়নানামায় লিপিকৃত টাকা পরিশোধ না করে কৌশলে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে ওই প্রতারক চক্র। জমি বিক্রির চুক্তি সম্পাদিত বায়নানামা ও খালি ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করেছে। এদিকে প্রতারক চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার মৃত আবুল হোসেন ছেলে আবু তাহের (৫৭)। শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পেকুয়া উপজেলা প্রেসক্লাব হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অবিকল তুলে ধরা হলো । আবু তাহের বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা পরধনলোভী, কুটকৌশলী ও খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক হয়। এম আশেক এলাহী ও মুজিবুর রহমান দলিল লিখক নহে। তাহারা পেকুয়া রেজিস্ট্রী অফিস ও ভূমি অফিসের দালাল। লোকমান হাকিম ছিদ্দিকী একজন দলিল লিখক হইলেও সে ইতিপূর্বে অনেক ভূয়া, ফৈরবী দলিল লিখার কারণে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হইলেও উক্ত মামলায় অনেক দিন জেলহাজতে ছিল। তাহারা প্রতিনিয়ত স্থানীয় নিরহ জনসাধারণকে হয়রাণি করিয়া আসিতেছে। সে সম্প্রতি জেল হাজত হইতে বাহির হইয়া পুনরায় একই কায়দায় ভূয়া দলিল সম্পাদনের কাজে জড়িয়ে পড়ে। শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে পেকুয়া সদরের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু তাহের কর্তৃক তাঁর স্ত্রী বুল বুল আকতারের নামে আমার খরিদা সম্পত্তি ক্রয় করিবে বলে গত ০৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে আবু তাহের ও তাঁর স্ত্রীর এবং তাহাদের পরষ্পর আত্মীয় উজানটিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পেকুয়ারচর শমশুল আলম ছেলে এম আশেক এলাহী সু-কৌশলে পেকুয়া চৌমুহনী দানেশীয়া লাইব্রেরীর উপরে ২য় তলায় আমাকে নিয়া আসে। ওই দিন ৪০.৫০ শতক জমির মোট মূল্য- ৩৪,০০,০০০/- টাকা, নগদ- ২৮,০০,০০০/- টাকা, বকেয়া- ৬,০০,০০০/- টাকা লিপিবদ্ধ করিয়া একখানা বায়নানামা দলিল সম্পাদন করেন। বায়নানামায় আবু তাহের ও উজানটিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পেকুয়ারচর এলাকার আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমান স্বাক্ষী হিসাবে ওই বায়নামায় দস্তখত করে। লোকমান হাকিম ছিদ্দিকী লিখক হিসাবে দস্তখত করে । আমি অশিক্ষিত হওয়ায় এম আশেক এলাহী আমাকে বোকা বানিয়ে আমার নিকট থেকে আরেকটি ৩০০/- টাকা মুল্যের পৃথক ননজুডিসিয়াল খালি ষ্ট্যাম্পে দস্তখত গ্রহণ করে তাহার নিকট জমা রাখে।
এসময় তিনি আরও বলেন, প্রতারক চক্রের বুল বুল আকতার ও স্বামী আবু তাহের আমাকে মঞ্জুরী দেওয়ার সময় নগদ লিপিকৃত টাকা পরিশোধ করিয়া দিবে বলে রেজিস্ট্রী অফিসে নিয়া যায়। মঞ্জুরীর সময় বায়নামায় উল্লেখিত ২৮লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলিলে বায়নামা গ্রহিতা আমাকে নগদ টাকা পরিশোধ না করায় আমি মঞ্জুরী প্রদান করি নাই। উক্ত বায়নানামা মঞ্জুরী না হইলেও বর্তমানে সম্পাদিত বায়নানামাখানা এম আশেক এলাহী ও লোকমান হাকিম ছিদ্দিকী কাছে রক্ষিত।
বর্তমানে ওই প্রতারক চক্রগন উক্ত বায়নানামা টাকা ছাড়া রেজিস্ট্রী মঞ্জুরী করার জন্য আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দিতেছে। বায়নানামা ও খালি ষ্ট্যাম্প পূরণ করিয়া আমাকে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমায় জড়াইয়া হয়রানি করিবে বলে হুমকী-ধমকী অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় প্রতারকদের কবল হতে আমার খালি ষ্ট্যাম্প ও সম্পাদিত বায়নানামা দলিলখানা উদ্ধার পূর্বক দোষীদের আইনী ব্যবস্থা গ্রহনসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করছি।
Leave a Reply