শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

মাগুরায় মানবাধিকার কর্মীর উপর নারকীয় হামলা, পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৭৪৬ Time View

 মাগুরা সংবাদদাতা:

মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার নোহাটা গ্রামের রুনা বেগম (৪২) দীর্ঘ আট বছর বিদেশে ছিলেন, বিদেশে থাকা কালীন সময়ে কঠোর পরিশ্রম করে বেশ কিছু অর্থ রোজগার করে এনেছিলেন। সেই টাকা পয়সার দিকে চোখ পড়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী মনির মৃধার (৫৫) , বিভিন্ন ছলচাতুরি মাধ্যমে মহিলার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় নগদ অর্থ সহ দামি স্বর্ণালঙ্কার। এমনকি মিথ্যে বিয়ের অভিনয় করে মনির মৃধা রুনাবেগমকে আলাদা বাড়ি ভাড়া করে এবং পরবর্তীতে নিজের বাড়িতে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু ঝামেলা সৃষ্টি হয় যখন প্রথম পক্ষের ছেলে মেয়ে বিষয়টি মেনে না নেয়। রুনা বেগমের দাবি ইতিমধ্যে মনির মৃধা চারবার তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করেছে ও তার টাকায় নির্মিত বাড়িটির অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। সামাজিকভাবে সবাই তাদেরকে স্বামী-স্ত্রী জানলেও, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে মনির মৃধা মিথ্যা তালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে এখনো একটি মামলা চলমান আছে। আজ ২ ডিসেম্বর সকাল আটটার দিকে রুনা বেগম তার পরিবারের সবাই মিলে রুনা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে মনির মৃধা ও তার ছেলে অনিক মৃধা ব্যাপক ছুরিকাঘাত করে ও লাঠি দিয়ে প্রহার করে। বর্তমানে এই অসহায় নারীটি মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি। বিভিন্ন সময়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মনির মৃধা ও রুনা বেগমের ব্যাপারটা সুরাহা করার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে মনির মৃধা সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য রুনা বেগম মাগুরার একটি মানবাধিকার সংস্থা আসকের শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগের আসক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান ” কথিত স্বামী মনির মৃধা একজন ঠক ও প্রতারক স্বভাবের, রুনা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন বিয়ের নামে প্রতারণা করেছে, তার টাকায় নির্মিত বাড়িটাও জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে, মানবতার স্বার্থে এই নারীকে সসম্মানে স্ত্রীর মর্যাদা ও বাড়ি ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানানো হচ্ছে।” রুনা বেগম বারবার দাবি করছেন নহাটা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রফিকুল ইসলাম তাকে কোনোভাবেই সহায়তা করছেন না। এ ব্যাপারে এসআই রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ” বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, আমরা এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি।”

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category