বিপদে-আপদে, সংকটে-সংগ্রামে, অর্জনে-বর্জনে, মিছিলে-গর্জনে, আশাহত গণমানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সাল থেকে কাজ করে আজকের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করে ছিলেন, কিন্তু খুনিদের লালসার স্বীকার হয়ে সপরিবারে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুন হয়েছিলেন। কিন্তু খুনিরা বুঝতে পারে নাই বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, আকাশে বাতাসে- ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় মিশে আছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম। বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস দেখুন-
৫২- এর ভাষা আন্দোলন
৫৪- এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
৬২- এর শিক্ষা আন্দোলন
৬৬- এর ৬ দফা
৬৯- এর গণ অভ্যূত্থান
৭১- এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সবই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্জন।
কিন্তু খুনি মোস্তাকরা ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস মুছে দিতে পারেনি। বাঙালির ভালবাসা ও বঙ্গকন্যার দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সততা, মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধা, পারিবারিক বন্ধন, মানসিক মনোবল, নেত্রীর দেশপ্রেম – ভঙ্গুর জড়তাগ্রস্ত দেশকে আজ মধ্যম উন্নয়শীল দেশ হিসাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। বাঙালির মুক্তি, সংগ্রাম, ৭৫ এর খুনিদের বিচার সম্পন্ন করা, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারা, দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্সে রাখা, মানবতার মাতা, অস্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, জাতির পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও অধিকার আদায়ে গণমানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসায় পরিণত হওয়া নেত্রীর নাম দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দলটির মাধ্যমেই বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, আজ জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন, আর তাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ কেবলই একটি রাজনৈতিক দল নয় বরং বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও গৌরবের ধারক ও বাহক।
Leave a Reply