মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

চকলেট বিক্রেতা কিশোরীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ, চালক গ্রেফতার

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০
  • ২১৬ Time View

জাকিরুল ইসলাম গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : গাজীপুরে চকলেট বিক্রেতা এক কিশোরীকে (১৬) যাত্রীবাহী চলন্তবাসে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে কালিয়াকৈরের বান্নারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বাসের চালকে গ্রেফতার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন (২২) শেরপুরের শ্রীবরদী থানার বাগতা এলাকার সুরুজের ছেলে। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন এলাকায় বাসা থেকে তাকওয়া পরিবহন যাত্রীবাহী বাস চালাতেন। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম কিশোরী জামালপুর থেকে এসে ঢাকার আশুলিয়ায় বাসা ভাড়া থেকে যাত্রীবাহী বাসে ফেরি করে চকলেট বিক্রি করেন। শনিবার রাত নয়টার দিকে চকলেট বিক্রির উদ্দেশ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এ সময় পূর্ব পরিচিত শরীফ হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় বেড়াতে যাবে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি তাদের চালিত তাকওয়া পরিবহন বাসে উঠেন। পরে বাসটি যাত্রী নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তায় আসে। সেখান থেকে যাত্রী নামিয়ে খালি বাসে ভিকটিমকে নিয়ে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ফ্লাইওভারে বাস থামিয়ে তাকে কুপ্রস্তব দেয়। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় ওই দুইজন তাকে জাপটে ধরে পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে। এসময় মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে টহল পুলিশ এগিয়ে আসতে থাকলে ওই দুইজন ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলে এবং পরে সাদ্দাম হোসেন বাস চালিয়ে চন্দ্রার দিকে যেতে থাকে। এ সময় পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে বাস চন্দ্রা থেকে ইউটার্ন নিয়ে মৌচাক দিয়ে বান্নারা (শাখা) রাস্তা ঢুকে জামালপুর যাওয়ার পথে শরীফ হোসেন তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে বাসটি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন মেম্বারবাড়ী বাস স্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছলে জয়দেবপুর থানার টহল পুলিশ বাস থামার সংকেত দেয়। এসময় ওই সড়কের পুলিশ বেরিকেডে বাস থামালে শরীফ পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ বাস থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেন। গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার এবং অপরজনকে গ্রেফতার করতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা করেছেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense