দেশে চলতি বছর কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৩২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৫০২ জন শ্রমিক। সবচেয়ে বেশি ৬৩৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বেসরকারি সংস্থা ‘বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেইফটি, হেল্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশন’ সংবাদ সম্মেলন করে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে নিহত হয়েছিলেন ৯৬৭ শ্রমিক, আহত হন ২২৮ জন। কিন্তু ২০২৩ সালে মারা যান ১ হাজার ৪৩২ জন, আহত হন ৫০২ জন। ১৫টি সংবাদপত্র ও মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরির কথা জানিয়েছে ওশি।
সংস্থার ভাইস চেয়ারপারসন এসএমা মোর্শেদ বলেন, এ বছর কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৩২৯ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মারা গেছেন ১ হাজার ১০৩ জন।
এ বছর পরিবহনখাতে সর্বোচ্চ ৬৩৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন, গত বছর এই খাতে মারা যান ১০৫ জন।
এছাড়া চলতি বছর ২২০ জন দিনমজুর, নির্মাণ খাতে ১৪৯ জন, ১৪৬ জন কৃষিশ্রমিক (এর মধ্যে বজ্রপাতে ৭১ জন), পোশাকশিল্পে ৬৪ জন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ৯৪ জন, মৎস্যখাতে ৫৩ জন, সেবাখাতে ২৬ জন, সিরামিক শিল্পে ১৭ জন, চামড়াশিল্পে ৪ জন, ইটভাটায় ১১ জন, জাহাজভাঙ্গা শিল্পে ৭ জন, চা শ্রমিক একজন এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনজনের প্রাণ গেছে।
সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, সহিংসতা, গৃহশ্রমিকদের শারিরীক নির্যাতন, দেয়াল, ভবন, ছাদ ও ভূমিধসসহ বিভিন্ন কারণে এই শ্রমজীবীদের মৃত্যু হয়েছে।
Leave a Reply