সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আর হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ বুধবার ১৯ মে সকাল ১০ টার সময় চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক আকবারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম ডালিম, এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন এশিয়ান টিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি মোঃ আজাদ হোসেন,ডিবিসি নিউজের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জিসান আহমেদ, মাইটিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ইকরামুল হক পিপুল, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নেতা ফিরোজ ইফতেখার ও রহমান মুকুল,
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের গনমাধ্যম কর্মি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে গনমাধ্যম কর্মিরা দ্রুত রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দাবি করেন ও সাংবাদিক নির্যাতনকারী সকলকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে গতকাল (১৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডাকা সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ)। সেসময় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমসহ কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বসেন।
ঠিক তখনই বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকেরা এ সংবাদ সম্মেলন বর্জন করছেন।
শামীম আহমেদ বলেন, গত সোমবার (১৭ মে) রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার সময় সাংবাদিকেরা বারবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। শামীম আহমেদের এ ঘোষণার পর সভাকক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকেরা একযোগে বেরিয়ে যান। তখন অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম অনেকটা হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন এবং বার বার সাংবাদিকদের বসতে বলছিলেন।
কিন্তু তার কথা কানে না নিয়ে সাংবাদিকরা সেখান থেকে সাংবাদিকরা বেরিয়ে যান। প্রসঙ্গত, অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার।
পরে রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply