শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে প্রচুর মুকুল আসলেও সে হারে আম আসেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৬৪ Time View

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা। প্রচুর মুকুল আসলেও সে হারে আম আসেনি। গুঠি আসার সময় পর্যন্ত একাধিক হাত বদল হয় আমবাগান।

কিন্তু এ বছর নানা জটিলতার কারণে আম ব্যবসায়ীরা আম বাগান ক্রয় করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। আম ব্যবসায়ীরা ও আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটু জানান, গত বছর থেকে দেশে কোরনা পরিস্থিতি খুব খারাপ হওয়ায় আম বাজারজাত করতে বেগ পেতে হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায় ভোলাহাটের সুস্বাদু আম। কিন্তু করোনায় লকডাউন হওয়ায় আম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আম বাজারজাত করা ব্যয়বহুল ও পরিবহণ করা কষ্ট হয়ে যায়।

ফলে ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গত মৌসুমে দাম না পাওয়ায় অনেক আম ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়েন। আসল পুঁজি না পেয়ে বিভিন্ন পেশায় ঝুঁকে পড়েছেন।

এবারো করোনার ভয়াবহতা আম ব্যবসায়ীদের ভাবিয়ে তুলেছে। তাই গুঠি হলেও আমবাগান ক্রয় করতে ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে গেছেন। এ সময় একটা আমবাগান বহুবার হাত বদল হলেও এখন পর্যন্ত বাগান বেচা-বিক্রির বালাই নেই।

করোনায় আম বাজারজাত করা নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন আম ব্যবসায়ীরা। সরকার কাছে আমসহ বিভিন্ন কাঁচা ফল বাজারজাত করতে সহাযোগিতার দাবী করেছেন।

ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র অর্থকরি ফসল আম। আম থেকে আয় করতে না পারলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চরম ভাবে ভেঙ্গে পড়বে।

ভোলাহাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলায় মোট ২৪ হাজার ৭৫ বিঘা জমিতে আম গাছ রয়েছে। এ বছর আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন যা গত বছরের থেকে বেশী।

গত বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন। এ দিকে উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে যে হারে আম গাছে মুকুল এসেছিলো সে হারে গঠি আসেনি।

সম্প্রতি উপজেলায় ঘন কুয়াশা এবং বৃষ্টি হওয়ায় মুকুলেই শেষ হয়েছে লাখ লাখ টাকার আম। এ সময় স্থানীয় আম ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর আমের গাছে গাছে প্রচুর মুকুল আসলেও প্রকৃতিক দূর্যোগের কারণে আমের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আম ব্যবসায়ী সেলিম রেজা, ফারুক, রফিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, এ বছর আম গাছে প্রচুর মুকুল এসছে।

প্রাকৃতিক দূযোর্গের কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনেক গুন কমে যাবে। তারা বলেন, লকডাউন আর পোকার আক্রমনে উৎপাদন বাধাগ্রস্থত হবে।

উপজেলার একমাত্র আম বিক্রয় কেন্দ্র আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটু লকডাউন হলেও আমসহ বিভিন্ন কাঁচামালের বাজারজাতের ব্যাপারে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর ৯০ শতাংশ গাছে আমের মুকুল আসলেও আবহাওয়া জনিত কারণে আম গাছে গুঠি কম এসেছে। তারপরও ফলন ভালো হবে বলে জানান।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category