বাংলাদেশ যেন সংখ্যালঘু হামলার এক নৈরাজ্য হয়ে উঠেছে। হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ৯৪টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
সংখ্যালুঘুদের উপর হওয়া প্রত্যেকটা হামলা ও নির্যাতন অত্যন্ত নির্মম ভয়াবহ অবর্ণনীয়।আর এই চলতি বৎসরের ফেব্রুয়ারী মাসেই দু-দুই বার জাতি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন রবি সরকারের পরিবার। ২রা ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার প্রথম হামলার শিকার হন। তখন তার মন্দিরে থাকা স্বরসতী প্রতিম ভেঙ্গে ফেলা হয়।
যার সংবাদ আমরাই প্রচার করেছিলাম। সেই একই হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দিনে দুপুরে। এবার হামলায় রবি সরকারের বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঘটনার সময় তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না বলে জানান রবি সরকার।
ওদিন তারা পুরো পরিবার মিলে সকাল বেলাই মাদারীপুর জেলার, কদমবাড়ি “গণেশ পাগল সেবা আশ্রমের” মন্দিরে পূজা জন্য চলে যান।পুজো শেষ করে দুপুরের দিকে বাড়ি ফিরে দেখতে পান বাড়িতে ভাংচুর করা হয়েছে। বাড়ির টিন ধারালো কোনো ভাড়ি অস্ত্র দিয়ে কু*পিয়ে কাটা হয়েছে। ঘরের ভিতর প্রথম বারান্দার সব কিছু এলোমেলো ভাবে পড়ে ছিলো।
ড্রেসিং টেবিল ও গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে রবি সরকার জানিয়েছেন তার ঘর থেকে কিছু চুরি হয়নি। এঘটনার পর থেকে তার মানুসিক স্থিতি ঠিক নেই খুবি দুশ্চিন্তার মাঝে দিন কাটছে তার। একই সাথে তার পরিবার এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন রবি সরকার ও তার সহধর্মিণী নমিতা সরকার উভয়েই ইস্কন সঙ্গ অনুসরণ করে আসছে। তারা ইস্কন অনুসারী হওয়ায় এঘটনায় মেলেনি কোনো প্রশাসনিক সহযোগিতাও। এ ঘটনার সাথে কে বা কারা যুক্ত এখনো তা জানা যায়নি। তিনি ধারণা করতেছেন পূর্বের হামলার দুষ্কৃতকারীরাই হয়তো বা এগুলো করে থাবেন।
Leave a Reply