সাভারে এক দোকানের এসি বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় দোকানের কাঁচ (থাই গ্লাস) ভেঙে ৬ জন আহত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এসির বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮ টা ১১ মিনিটের দিকে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আশরাফ উদ্দিন খান শাহীনের মালিকানাধীন বাহার সুপার মার্কেটের আদ্রিতা ফ্রেবিক্স এন্ড টেইলার্সের দোকানে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের কারণে আদ্রিতা ফ্রেবিক্স এন্ড টেইলার্স এর দোকান ছাড়াও পার্শ্ববর্তী একই সাড়িতে থাকা আরাফা টেলিকম নামে একটি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান, আলিফা স্টোর নামে একটি মুদি দোকান ও রিমন ডেকরেটর নামের একটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসির বিস্ফোরণে ৪ টি দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষ।
দগ্ধরা হলেন, আদ্রিতা ফ্রেবিক্স এন্ড টেইলার্সের মালিক এবং মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার কিটিনচর জয়মন্ডপ এলাকার মৃত ইদ্রিস আলী খানের ছেলে ও গেন্ডা রাজাবাড়ী মহল্লার আনিসুর রহমান খানের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো.ইউসুফ খান (৪০)। তার বন্ধু সাভার পৌরসভার তালবাগ এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নাহিদ হাসান (৪২), তার কাস্টমার ও গেন্ডা এলাকার মোতাহার হোসেনের ছেলে আনসার আলী (৫০)।
আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইউসুফ ও নাহিদকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এবং আনসার আলীকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা তিনজন বিস্ফোরণের সময় ওই দোকানের ভেতরেই অবস্থান করছিল।
এছাড়া আহত সাভার পৌরসভার ভাগলপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩০), গেন্ডা এলাকার রতন মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া(২৪), একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে হাসান নাহিন (৪৮), আজাদ(৫০) এবং বাবুলকে(৪৬) সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সাইদুর রহমান খানের মেয়ে মালিহা খান(২৬) ও তার স্বামী অনিক হাসানকে(৩২) সাভারের দ্বীপ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সীমা জেনারেল হাসপাতালে ১ জন,স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নারীসহ ২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, আদ্রিতা ফ্রেবিক্স এন্ড টেইলার্সের দোকানের ভিতরে মালিক ইউসুফ তার বন্ধু নাহিদ ও তার কাস্টমার মোতাহার অবস্থান করাকালে বিকট শব্দে এসির ইনডোর বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে দোকানের ভিতর আগুন ধরে পার্শ্ববর্তী দোকানে ছড়িয়ে পড়ে এবং টিনের চালা উড়ে যায়।
এসময় দোকানের সামনে থাকা কাঁচ (থাই গ্লাস) ভেঙে দোকানের সামনে অবস্থানরত লোকজন ও পথচারীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয়রা দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সাভার ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মেহরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
তবে স্থানীয়রা ততক্ষণে বিস্ফোরণের আগুন নিভিয়ে ফেলে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় এসি থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে ত্রুটিপূর্ণ এসি এবং ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সংযোগ হতে এসির বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এসির বিস্ফোরণ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। বার্তা প্রেরক : মো.মাইনুল ইসলাম সাভার ঢাকা।
Leave a Reply