শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

কাশিমপুরে ধর্ষণ মামলা অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা

শাহাদাৎ হোসেন সরকার, আশুলিয়া
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৭৫ Time View

কাশিমপুরে ধর্ষণ মামলা ১৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা করছেন গাজীপুর মহানগর কাশিমপুরের ৩ নং ওয়ার্ডের বারেন্ডা এলাকায়। জানা যায় ফাতেমা নামে এক নারীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর যাবতৎ ধর্ষণ করে আসছে ধর্ষক দুলাল মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (৭ই ডিসেম্বর) ধর্ষিতা ফাতেমা বাদী হয়ে ধর্ষক দুলাল মন্ডল এর বিরুদ্ধে কাশিমপুর মেট্রো থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী ফাতেমা বলেন জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য দুলাল মন্ডলের নিকট গেলে,ধর্ষক দুলাল মন্ডল ফাতেমার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে সেই সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে পরিনত হয়।

সেই ধারাবাহিকতায় দুলাল মন্ডল দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ ফাতেমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ১৩-০৮-২০২৩ রাতে ফাতেমার নিজ গৃহে দুলাল মন্ডল তাকে একাধিকবার ধর্ষন করেন। এসময় ফাতেমা বিয়ের কথা বললে, দুলাল মন্ডল ফাতেমার সঙ্গে সকল সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।

এ সময় ফাতেমা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে বিষয়টি ফাতেমার পরিবার দেখে ফেললে, পরিবারের সকলেই আলোচনা সাপেক্ষে গত ৪-১২-২০২৩ ইং রোজ সোমবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাফিউল করিম বরাবর উপস্থিত হন।

এ সময় ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মোল্লা ও ৬ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান তুলা অভিযুক্ত দুলাল মন্ডল ও ফাতেমার বিষয়ে সামাজিক ভাবে মীমাংসা ও সুষ্ঠু বিচার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাশিমপুর থানা থেকে ভুক্তভোগী ফাতেমাকে নিয়ে যান। ৬ ডিসেম্বর বুধবার রাত ১০টার সময় ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলা,উভয়পক্ষকে নিয়ে সামাজিক সমাধানের জন্য বসে।

তবে বিচারে বসলেও ফাতেমাকে দুলাল মন্ডলের স্ত্রীর স্বীকৃতি বিষয়ে আলোচনা না করে তার ইজ্জতের বাজার দর হিসাবে ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন ফাতেমা ও তার পরিবারকে। কিন্তু ভুক্তভোগী ফাতেমা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করতে না চেয়ে স্বামীর স্বীকৃতি চেয়ে আকুতি মিনতী করেন যার ফলে বিচারের কোন সমাধান করতে পারেননি বিচারক মণ্ডলীরা।

পুনরায় কাশিমপুর থানার দারস্ত হন ভুক্তভোগী ফাতেমা ও তার পরিবার। এ সময় ফাতেমা বলেন, আমি টাকা পয়সা চাই না।মান ইজ্জতের ক্ষতি টাকা পয়সা দিয়ে পূরণকরা সম্ভব নয়। আমি শুধু আমার ইজ্জত চাই।দুলাল মন্ডল আমাকে বিয়ের কথা বলে দীর্ঘ দুই বছর ধর্ষণ করেছে। আমি তার স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই এবংএই সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ শাহীন আলম কাউন্সিলর ৩ নং ওয়ার্ড ও মোঃ আসাদুজ্জামান তুলা কাউন্সিলর ৬ নং ওয়ার্ড বলেন বিষয়টি শোনার পর মেয়ের পক্ষে গিয়ে জানতে পারি এদের মধ্যে সম্পর্ক হয়তো ছিলো কিন্তু ধর্ষণের বিষয়ে তেমন কিছু জানতে পারি নাই।

বিষয়টি মিটানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু মেয়ে যেহেতু এবিষয়ে মানছে না আমরা আর এবিষয়ে কোন কথা বলিনি। এবিষয়ে মোঃ আব্দুল আল মামুন ওসি তদন্ত কাশিমপুর থানা বলেন এবিষয়ে আজ ৭ ডিসেম্বর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং ১০।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category