“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী” ও ” স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে” স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের শুভক্ষণে ও ” জাতীয় শিশু দিবস- ২০২২ ”
এ সুবর্ণচর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মেলায়” এড. ওমর ফারুক ও আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সার্বিক ত্তত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধের সর্ববৃহৎ উপন্যাস”এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ” শিরোনামে বুক স্টল উদ্বোধন করা হয়। স্টল উদ্বোধন করেন, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতী সর্ববিদ্যা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচরের কৃতি সন্তান, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও কথাসাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম মুনির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল মোবারক।
আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চর জব্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. ওমর ফারুক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু, চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. আবুল বাসার,বিশিষ্ট সমাজসেবক ছায়েদুল হক ভুইঁয়া, আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, ছাত্র ছাত্রীসহ সাধারণ জনগণ।
এসময় সুবর্ণচর উপজেলার কৃতিসন্তান,কথা সাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম মনিরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতী সর্ববিদ্যা। বুক স্টলে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও কথাসাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম মুনিরের লেখা বাংলা সাহিত্যের বৃহত্তম মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে “।
বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক উপন্যাস – “রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি”।গবেষণা গ্রন্থ- “বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড”। কাব্যগ্রন্থ – পৃথিবীর ভরকেন্দ্র ও সুবর্ণচরে মাটি -মানুষের অতীত ইতিহাস, সমুদ্র -নদী, বন-জঙ্গল, প্রাকৃতিক প্রতিকূল ধ্বংসাত্মক শক্তির সাথে লড়াই করে কিভাবে আজকের সুবিস্তীর্ণ সুবর্ণচর গড়ে উঠেছে তা নিয়ে এক অনবদ্য উপন্যাস ” নদী জীবন ও চর জীবন”। তাছাড়া এই সুবর্ণ সন্তান লিখেছেন ভ্রমণকাহিনী – “মহাচীনের মহা জাগরণ “ও “মেপল পাতার দেশে”।
তার মনস্তাত্ত্বিক উপস্থাপনায় কলমের রেখাতে সুন্দর,সাবলীল, পরিমার্জিত ও গঠনশৈলী সাহিত্যের রুপ বেরিয়ে এসেছে, “পদ্ম উপাখ্যান,রক্তের ভেজা অববাহিকা, তার ফিরে আসা,আবত,কালো কাইতন,গভর্নরকে হত্যা করা হয়েছে,রাজনীতি বানুদি ও রংধনু বৃষ্টি,যখন প্রপাত, বিলোনিয়া,মুক্তিযুদ্ধের গল্প,বঙ্গবন্ধু হৃদয়ের গহীনে ,ভোলার হাসি,এক অভিমানি বালকের গল্প,সব পাখি ঘরে ফিরে,ভালোবাসার ফুল,কমলা সুন্দরী ও অন্যান্য গল্প,কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি, অংকুরী,গল্পসমগ্র, উপন্যাস সমগ্র ইত্যাদি স্থান পেয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম মনির সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন- রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ পুরষ্কার, কিউট সাহিত্য পুরষ্কার, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরষ্কার,বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ পদক, চায়না মিডিয়া গ্রুপ সম্মাননা, দিগন্তধারা সাহিত্য পুরষ্কার এবং আগরতলা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি, আগরতলা কর্তৃক সম্মাননা স্মারক।
Leave a Reply