বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুর রায়পুরের তিন সন্তানসহ ভোটে হারলেন বাবা, এক ছেলে জয়ী

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩০৯ Time View

রায়পুরে ৩ সন্তানসহ ভোটে হারলেন বাবা, এক ছেলে জয়ী লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশীদ মোল্লা (মোটরসাইকেল) ও সদস্য-সংরক্ষিত সদস্য পদে তার তিন ছেলেমেয়ে হেরে গেছেন।

তবে তার আরেক ছেলে দিদার হোসেন মোল্লা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হয়েছেন। জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী রশিদ মোল্লা ৫ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী তার চেয়ে ৬৭ ভোট বেশি পেয়েছেন। ইউপি সদস্য পদে রশিদ মোল্লার দুই ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা (ফুটবল), দিদার হোসেন মোল্লা (ঘুড়ি) ও ভাতিজা সুফিয়ান মোল্লা (মোরগ) ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এতে দিদার ৪৫১ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার ভাই জাকির হোসেন ৩৪৬ ও চাচাতো ভাই সুফিয়ান ১১৩ ভোট পেয়েছেন। দুই মেয়ের মধ্যে তাহমিনা আক্তার ঝর্ণা সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১, ২, ৩ ও জোসনা বেগম ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে পারেননি।

দুজনেরই প্রতীক মাইক ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাদের ভাই দিদার হোসেন মোল্লা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আবদুর রশিদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। বিরোধীতা করায় ১৯ নভেম্বর তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের তিনজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করা কঠিন কাজ।

রশিদ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করেছে। এতে কেন্দ্রে এজেন্ট শক্তি বাড়ানোর জন্য তার ছেলে মেয়েরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তবে রশিদ হারলেও ইউনিয়নে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দিদার হোসেন মোল্লা বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমার বাবা জিতছে। কিন্তু নৌকার প্রার্থীরা সিস্টেম করে আমার বাবাকে হারিয়ে দিয়েছে।

দুটি কেন্দ্রের ফলাফল আমাদের না শুনিয়েই চেয়ারম্যানের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, ইউনিয়নে আলাদা আলাদা রিটার্নিং অফিসার ছিলেন। ভোট গণনার পর তারাই ফলাফল ঘোষণা করেছেন। ফলাফল ঘোষণার পর ওই প্রার্থী কোনো অভিযোগ করেননি। তাদের কোনো আপত্তিও ছিল না।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category