শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

ধানে চিটা দেখে দিলে কৃষকদের করণীয়

নিউজ ডেস্ক
  • Update Time : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৭৪ Time View
ঝড় হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় ধানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচণ্ড গরম ও ঝড়ো বাতাসের কারণে কোথাও ধান চিটা হতে দেখা গেলে করণীয় হলো-
১। জমিতে সর্বদা পানি রাখুন। (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জমিতে পানি ধরে রেখে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা)।
২। এমওপি সার ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম মিশিয়ে ৫ শতাংশ হিসেবে স্প্রে করুন অথবা বিঘা প্রতি ৫ কেজি হিসেবে দানাদার এমওপি (পটাশ) সার উপরিপ্রয়োগ করুন।
৩। ধানের ফুল অবস্থায় স্প্রে করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই পড়ন্ত বিকেলে বালাইনাশক স্প্রে করুন। সাধারণত সকাল ৭-১১টা পর্যন্ত ধানের পরাগায়ণ ঘটে। এ অবস্থায় স্প্রে করলে পরাগায়নের সমস্যা হয় এবং ধান চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অপরিকল্পিতভাবে বালাইনাশক স্প্রে করা যাবেনা।
>> প্রয়োজনে আপনার ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।
⏩ধানে চিটা হওয়ার কারণ কী?
স্বাভাবিকভাবে ধানে শতকরা ১৫-২০% চিটা হয়। চিটার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলে ধরে নিতে হবে থোড় থেকে ফুল ফোটা এবং ধান পাকার আগ পর্যন্ত ফসল কোন না কোন প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে, যেমন অসহনীয় ঠাণ্ডা বা গরম, খরা বা অতিবৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝা, পোকা ও রোগবালাই এবং অনিয়ম করে বালাইনাশক প্রয়োগ।
গরম: ধানের জন্য অসহনীয় তাপমাত্রা হলো ৩৫° সেলসিয়াস বা তার বেশি। ফুল ফোটার সময় ১-২ ঘণ্টা ঐ তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাত্রাতিরিক্ত চিটা হয়ে যায়।
ঝড়ো বাতাস: প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসের কারণে গাছ থেকে পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়। এতে ফুলের অঙ্গগুলোর গঠন বাধাগ্রস্ত হয়। আবার ঝড়ো বাতাস পরাগায়ন, গর্ভধারণ ও ধানের মধ্যে চালের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এতে ধানের সবুজ খোসা খয়েরি বা কালো রঙ ধারণ করে। ফলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে।
খরা/শুষ্কতা: খরার কারণে শিষের শাখা বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিকৃত ও বন্ধ্যা ধানের জন্ম দেয়ায় চিটা হয়ে যায়।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category