শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজৈরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ কদমবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের শপথবাক্য পাঠ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুরে বাবুর্চি সহ ২টি মরদেহ উদ্ধার মুকসুদপুরের বাটিকামারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন সেলিমুজ্জামান সেলিম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার- পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত “সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর আগে ভাবুন—এই ৫টি দিক”

ধানে চিটা দেখে দিলে কৃষকদের করণীয়

নিউজ ডেস্ক
  • Update Time : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪১৯ Time View
ঝড় হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় ধানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচণ্ড গরম ও ঝড়ো বাতাসের কারণে কোথাও ধান চিটা হতে দেখা গেলে করণীয় হলো-
১। জমিতে সর্বদা পানি রাখুন। (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জমিতে পানি ধরে রেখে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা)।
২। এমওপি সার ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম মিশিয়ে ৫ শতাংশ হিসেবে স্প্রে করুন অথবা বিঘা প্রতি ৫ কেজি হিসেবে দানাদার এমওপি (পটাশ) সার উপরিপ্রয়োগ করুন।
৩। ধানের ফুল অবস্থায় স্প্রে করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই পড়ন্ত বিকেলে বালাইনাশক স্প্রে করুন। সাধারণত সকাল ৭-১১টা পর্যন্ত ধানের পরাগায়ণ ঘটে। এ অবস্থায় স্প্রে করলে পরাগায়নের সমস্যা হয় এবং ধান চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অপরিকল্পিতভাবে বালাইনাশক স্প্রে করা যাবেনা।
>> প্রয়োজনে আপনার ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।
⏩ধানে চিটা হওয়ার কারণ কী?
স্বাভাবিকভাবে ধানে শতকরা ১৫-২০% চিটা হয়। চিটার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলে ধরে নিতে হবে থোড় থেকে ফুল ফোটা এবং ধান পাকার আগ পর্যন্ত ফসল কোন না কোন প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে, যেমন অসহনীয় ঠাণ্ডা বা গরম, খরা বা অতিবৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝা, পোকা ও রোগবালাই এবং অনিয়ম করে বালাইনাশক প্রয়োগ।
গরম: ধানের জন্য অসহনীয় তাপমাত্রা হলো ৩৫° সেলসিয়াস বা তার বেশি। ফুল ফোটার সময় ১-২ ঘণ্টা ঐ তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাত্রাতিরিক্ত চিটা হয়ে যায়।
ঝড়ো বাতাস: প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসের কারণে গাছ থেকে পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়। এতে ফুলের অঙ্গগুলোর গঠন বাধাগ্রস্ত হয়। আবার ঝড়ো বাতাস পরাগায়ন, গর্ভধারণ ও ধানের মধ্যে চালের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এতে ধানের সবুজ খোসা খয়েরি বা কালো রঙ ধারণ করে। ফলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে।
খরা/শুষ্কতা: খরার কারণে শিষের শাখা বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিকৃত ও বন্ধ্যা ধানের জন্ম দেয়ায় চিটা হয়ে যায়।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense