শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গাইলে সর্বত্রই নির্বাচনী হাওয়া বইছে

 সাজ্জাদ হোসেন, টাঙ্গাইল
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
  • ১১৪ Time View
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সর্বত্রই নির্বাচনী হাওয়া বইছে। এ উপজেলার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট-বাজার পাড়া-মহল্লা সবখানেই নির্বাচনী আলাপ নিয়ে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। আগামী ২৭ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।
এই চারটি ইউনিয়ন হচ্ছে- ছিলিমপুর, কাকুয়া, কাতুলী ও মাহমুদনগর। এসব ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হরে ইভিএম পদ্ধতিতে। নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৩২ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে কাকুয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাতুলীতে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ছিলিমপুরে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪০ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মাহমুদনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থণা করছেন।
বিজয়ী হওয়ার জন্য নিজেকে সৎ ও যোগ্য দাবি করে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নৌকা প্রতীক ছাড়া অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্য চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীর কর্মী ও অনুসারীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়তই। ফলে আতংক দেখা দিয়েছে ইউনিয়নবাসীদের মধ্যে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে ইউনিয়নটিতে। ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুজায়েত হোসেন বলেন, আমার কর্মীদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।
এমনকি আমার কর্মী বহরের ২৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন দেওয়ান ও কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম বলেন, নৌকার প্রার্থী ও তার কর্মীরা আমাদের কর্মীদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। এছাড়াও কোন সভার আয়োজন করলে তারা সেখানে সভা করতে দিচ্ছেন না। নৌকা প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনের নিয়ম ভঙ্গ করছেন।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, আমরা অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মিলে মিশে কাজ করছি। অন্য প্রার্থী বা তার কর্মীদের কোন প্রকার হুমকি ধামকি দেওয়া হয়নি। কাকুয়া ইউনিয়নের দেলদা গ্রামের আইয়ুব আলী বলেন, আমরা ভোট দেওয়ার অধিকার চাই। এছাড়া যমুনার ভাঙন রোধে যে ব্যক্তি স্থায়ী বেড়িবাঁধ গড়তে পারবে ও ডাকলে যাকে কাছে পাওয়া যাবে- এমন ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।
পৌলি গ্রামের আতিক বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। আমরা কারো পক্ষে কখনও ভোট চাই না। তারপরও নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা বলছেন, নৌকার বাইরে ভোট দেওয়া যাবে না। তারা বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছে। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এইচএম কামরুল হাসান জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও একাধিক ম্যাজিস্ট্রেটকে অ্যাসাইন করা আছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category