মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় মোবাইল ফোনে মারামারির ভিডিও ধারণ করায় জোবায়ের শেখ (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ফয়জল খালাশী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজৈর উপজেলার কুঠিবাড়ি গ্রামে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানায়, ওই দিন বিকেলে পূর্ব বিরোধের জেরে কুঠিবাড়ি গ্রামের লাইজু বেগম ও নাদিরা বেগমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাইজু বেগম মোবাইল ফোনে কল করে স্থানীয় নেতা ফয়জল খালাশী ও তার সহযোগীদের ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। পরে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাদিরা বেগম ও তার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় হামলার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে জোবায়ের শেখকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে হাতুড়ি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে নাসির শেখ (১৬) নামে আরেকজনের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গুরুতর আহত জোবায়ের শেখকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে (২২ ডিসেম্বর) সোমবার রাজৈর শাহ শূফী জোনাব আলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার রাজৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে ফয়জল খালাশীসহ মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ৪–৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন