নীতি সরকার,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের প্রতিবাদস্বরূপ লেখালেখি করায় নিজেই গন ধর্ষণের হুমকির শিকার হয়েছেন।
ইতিমধ্যে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলিফ লাইলা জানায়, ধর্ষণের প্রতিবাদে লেখালেখি করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে হাসান আল মামুন নামক আইডি থেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালির পাশাপাশি ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি ধর্ষণ বিরোধী যত গুলো পোস্ট দিয়েছি, তাতে কোন প্রকারের রাজনৈতিক বিষয় ছিল না বা কোন রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল না আমার।”
হুমকির শিকার লাইলা আরও বলেন, “২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটের গণধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত পলাতক, ৬ অক্টোবর একটি কপি পোস্ট ছাড়াও প্রায় নিয়মিতই ধর্ষণের প্রতিবাদে লেখালেখি করে আসছিলাম। কিন্তু কে বা কারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দিছে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে ছাত্রলীগের কারো দ্বারাই এই হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটেছে।”
ধর্ষণের হুমকির ঘটনার কোন মামলা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,”হুমকি দাতা ছাত্রলীগ, মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ করে মেসেজ দিয়েছে। কারো সাথেই আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা নেই। হুমকি দেয়ার সময় তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে যে জাহাঙ্গীর ভাই আছে,দেখিস কি হয়! আর মুক্তা ভাই মাগুরা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, এর বেশি আর কিছু জানি না আমি তার সম্পর্কে। আপাতত হুমকির ঘটনার বিবরণ দিয়ে মাগুরা থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর সাথে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। “
তিনি আরও বলেন,”কেউ হুমকির সময় তার নেতার নাম কখনোই বলবে না বলেই আমার ধারণা।”
ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন “বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হিসেবে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করে এই ঘটনা সাজানো হয়ে থাকতে পারে। আমার বোনকে আজ যে ধরনের অশালীন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে, তাতে আমি একজন শিক্ষার্থী হিসেবে লজ্জিত। মুজিব আদর্শের সৈনিক কখনোই এ ধরনের অপকর্মের সাথে লিপ্ত হতে পারে না। আমরা বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের সকলেই ঐ শিক্ষার্থীর পাশে আছি।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আরও দাবি জানান, প্রশাসন যেন অবশ্যই এর পেছনের ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কঠোরতর শাস্তির ব্যবস্থা করার।”
সর্বশেষ,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকারের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানায়, ” আমরা এখন পর্যন্ত কোন প্রকারের লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply