নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউপির রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলে অবৈধ কোচিং বাণিজ্যের রমরমা অবস্থা। সরেজমিনে গিয়ে খবর নিয়ে জানা গেল ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক গোলাম রব্বানী। তিনি রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক। সাংবাদিকদের আসার খবর পেয়ে ওই শিক্ষক দ্রুত কোচিং সেন্টারটির দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে তার অফিসের দিকে হাঁটা দেন। এসময় সাংবাদিকরা ঐ কোচিং সেন্টারে যেতে চাইলে তিনি সেখানে যেতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অফিসে বসার জন্য জোর করেন। সাংবাদিকরা তার চাতুরতা বুঝতে পেরে তার ডাকে সাড়া না দিয়ে বন্ধ ঘরের দরজা খুলে প্রবেশ করে দেখেন ঘরভর্তি শিক্ষার্থী সেখানে কোচিং করছেন। তাদের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০জন। সকলেই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক গোলাম রব্বানী। ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে এরপর তেড়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে উগ্র মেজাজে কথা বলতে শুরু করেন।এ সময় তিনি বলেন, জান জান ইউএনও কে বলেন,উনি কি করবে আমার!বলতে বলতে সাংবাদিকদের গায়ে ধাক্কা মেরে বলেন, জানমিয়া এখান থেকে,বের হয়ে যান। কেন আসছেন এখানে? তৎক্ষণাৎ বিষয়টি মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন কে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে কোচিং শিক্ষক গোলাম রব্বানী ততক্ষণে কোচিং সেন্টারটির সকল শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে তিনিও সটকে পড়েন।
ঘটনাস্থলে রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক কে মুঠোফোনে ডেকে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় ওই প্রধান শিক্ষক অবৈধ কোচিং শিক্ষকের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে, মুঠোফোনে ধারণকৃত পুরো ঘটনা দেখে ওই শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে কোচিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেন।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান,
এই শিক্ষক দীর্ঘ দুই মাস থেকে এই কোচিং সেন্টারটি একাধিক ব্যাচে শত শত শিক্ষার্থীকে কোচিং করে আসছিলেন।
এদিকে কোচিং বাণিজ্যের খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ায় ফুলবাড়ীর সাংবাদিক সমাজ অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply