বিশেষ প্রতিনিধি, মহানগরীর গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আপন খালু চুন্নু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগে তাকে নগরীর শেরে বাংলা রোডের হাজীবাড়ি মিজানের বস্তি থেকে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। আটককৃত চুন্নু মিয়া গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারের আব্দুল বারেক তালুকদারের ছেলে। সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচাবাজারের (বস্তা সেলাই) শ্রমিক।
নির্যাতিত শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ, শিশুটির খালা বাসায় না থাকা অবস্থায় গেল তিন মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে তার খালু চুন্নু মিয়া। গেল কয়েক দিন থেকে শিশুটি অসুস্থবোধ করলে মায়ের চাপাচাপিতে খালু চুন্নু মিয়া কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। শিশুটির বাসা গল্লামারী দরগা রোডে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পারিবারিকভাবে মিমাংসার জন্যে বসলেও আপোষ হয়নি ঘটনাটি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর শেরে বাংলা রোডের আমতলা হাজীবাড়ি মিজানের বস্তি থেকে পারিবারিক আপোষ মিটিং চলাকালে চুন্নু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তবে অভিযুক্ত চুন্নু মিয়ার স্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই মেয়েটা আমার আপন বোনের মেয়ে। সে একবার বলতেছে, তিনবার করছে; আরেক বলছে তিন মাস ধরে …! ওকে অন্যরা এসব কথা শিখাই দিছে। এ অভিযোগ মিথ্যা কথা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. দারুল আনান, মো. হামিম তরফদার, সাইমুম আলম জিয়া ও ঈসা আনসারী অভিযুক্ত চুন্নু মিয়াকে আটক করেন। তারা জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে তারা ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশকে অবহিত করেছে। নির্যাতিত শিশুটির সাথেও তাদের কথা হয়েছে। কোনো শিশু ধর্ষণের ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগ তুলতে পারে না। অবশ্যই ঘটনাটি সত্য। এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ মামলা করেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply