নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন সাতার পাড়া গ্রামে মঙ্গলবার দিনগত রাত অনুমানিক ১০ টার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নোয়াব গাইন এর ওপর , স্থানীয় হাসেম আলী ও ছালাম প্রামানিকের ক্যাডার বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে একাধিক এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র ক্যাডার সুমন পেয়াদার ও ছালাম এর নেতৃত্বে ও হাসেম আলীর আশ্রয় প্রশ্রয় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল , মঙ্গলবার দিনগত রাত আনুমানিক ১০ টার সময় , ইউনুস ফকিরের ছেলে মোতালেব শেখ , মৃত মকবুল গাইনের ছেলে নোয়াব গাইন , আজিজের ছেলে কামাল গাইন সহ আরও চার থেকে পাঁচ জনের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
এ এ বিষয়ে মোতালেবের ছোটভাই জনি জানান, তারা ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত যখন ক্ষমতায় যায় তখন তারা গ্রামকে গ্রাম ভাঙচুর ও লুটপাট করে নেয়।
২০০২ সালে সাতার পাড়া গ্রামে বিএনপি ক্যাডার বাহিনীর তান্ডবের গ্রামবাসী এলাকাছাড়া এই শিরোনামে প্রকাশিত একাধিক পত্রপত্রিকা ও সেই সময়ে ভাংচুরকৃত বাড়ি ঘরের ছবি গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি আর জানান আমরা বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নির্যাতিত হয়েছি কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর আমরা কখনও তাদের উপর হামলা বা আক্রমণ করি নাই। কারণ আমাদের সরকার ওদের সরকারের মতো না আমরা চাই দেশের শান্তি ও উন্নয়ন।
কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় নেতা হাসেম মাস্টারের ছত্রছায়ায় বিএনপি ক্যাডার বাহিনী আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা আমাদের সবসময় খুন জখমের এর হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার ভাই ও আমার চাচারা গতকাল রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে হামলা শিকার হন ।
এছাড়াও এলাকাবাসী আরো জানান, গত হাসেম মাস্টার ছোট একটি মারামারি কে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে দুই রাউন্ড ফায়ার দেয়। বিষয়টি একাধিক এলাকাবাসী নিশ্চিত করে জানান দলীয় লেবাস কে ব্যবহার করে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া দিলেও আইনানুগ কোন ব্যবস্থা হয় নাই।
এ বিষয়ে সুমন পেয়াদার বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে মুঠোফোনের নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাসেম আলী মাস্টার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি বা আমার নেতৃত্বে কোন হামলা কারোর উপর হয় নাই। এবং আমার যে অস্ত্রের বিষয়টি উত্থাপন করা হচ্ছে এটা ভিত্তিহীন আমার কাছে কোন অস্ত্র নাই।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জহুরুল আলম জানান এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply