
পেকুয়া প্রতিনিধি কক্সবাজারের পেকুয়ায় তৃতীয় স্ত্রী ও একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে দুই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানী থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেয়ের পিতা শফিকুর রহমান।
রবিবার (৪অক্টোবর) বিকাল ৩টায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি রমিজ পাড়া এলাকার মৃত নুরুল আনোয়ার চৌধুরীর ছেলে শফিকুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর পরিবার। শফিকুর রহমান চৌধুরী টৈটং ডালারমুখ পাহাড়ি জনহপদের প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মদিয়া মাহমুবিয়া নুরুল আনোয়ার মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রসার দাতা ও একই এলাকার প্রতিষ্ঠিত বায়তুন নুর জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও পেম ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উপস্থিতে লিখিত বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, আমার তৃতীয় স্ত্রী কাউছারা বেগম ,মা সাজেদা বেগম ও তার ভাই আমজাদ হোসেনের সাথে বিগত কয়েকমাস পূর্ব থেকে পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। পাওনা টাকার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করি যার মামলা নং ৪৬৩। এর জের ধরে সে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে নানান ভাবে মিথ্যা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। নানান অযুহাত ও বায়না ধরে একাধিক বার বাপের বাড়ি চলে যায়। সম্প্রতি ২৪ই জুন আমাদের সকলের অগোচরে দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার বাড়িতে সংরক্ষিত মালামাল, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। এসবের খবর পেয়ে ৫আগস্ট হলফনামা মূলে আমাকে তালাক দেয়। যার স্মারক নং ০১৮৪(এন)৮। এরপরে ও তাঁরা ক্ষান্ত হননি। ১৪ই আগস্ট তাঁদের লেলিয়ে দেওয়া ভাড়াটিয়া কিছু সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দিবালোকে টৈটং হাজির বাজার এলাকায় হত্যার উদ্দ্যেশে আমার উপর হামলা চালায়। হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ২৪ই আগস্ট পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি যার মামলা নং ৫৮৬/২০২০। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, তৃতীয় স্ত্রী কাউছারা বেগম বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় আমার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে শফিকাতুন নাইমা রুপালিকে ফুঁসলিয়ে তাদেঁর সাথে নিয়ে যায় । এরপর থেকে মেয়ের সাথে আমাদের দেখা করার সুযোগ হয়নি। এবিষয়ে আমার প্রথম স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকি বাদি হয়ে সাজেদা বেগম ও কাউছারা বেগমকে আসামী করে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ৬৬২/২০২০। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পেকুয়া থানা বারাবরে প্রেরণ করেন। পেকুয়া থানার সাবেক এস আই সনজিত চন্দ্র নাথ এবিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর থেকে কবাউছারা বেগম ও তাঁর পরিবার আমার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে লাগামহীন মিথ্যা হয়রানী চালিয়ে যাচ্ছে । প্রতিনিয়ত এহেন হয়রানীর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ করেছি। যার কোন স্থায়ী সুরহা এখনো পায়নি। এতে সে দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এনে ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত তৃতীয় স্ত্রী কাউছারা বেগম বাদি হয়ে নিজ মেয়ে শফিকাতুন নাইমা রূপালী (১৫) ও অপর মেয়ে শানজিদা ইয়াসমিন সোনালী (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ১৫৬/২০২০। এখানে প্রশ্ন থাকে যে, কাউছারা বেগম বাড়ি থেকে যাওয়ার পর ওই মেয়ে দুটিকে সাথে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের সাথে দেখা ও কথা বলার যেখানে সুযোগ ছিলনা সেখানে কিভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে ? একই অভিযোগ এনে সাংবাদিক ভাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্থানীয় দৈনিক প্রত্রিকা বাঁকখালী ও দৈনিক রূপসীগ্রাম সংবাদ প্রকাশ করেছে। মামলায় উল্লেখিত তথ্য ও সাংবাদিক দেওয়া তথ্যের সাথে কোন মিল নেই। প্রকৃতপক্ষে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাগত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রসায় দায়িত্ব থাকা কালীন সময়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্য ও মানহানী করার কু-মানষে আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। আমাকে তালাক দেওয়া ওই তৃতীয় স্ত্রী কাউছারা বেগম (৩৩) ও তার পরিবার। এতে বুঝা যায় যে, আমার দুই মেয়ের ইজ্জত কোন এক পর পুরুষের কাছ বিক্রি করে দিয়েছে। আমি এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার দুই মেয়ের ইজ্জত হননের বিচারের আরজি করছি বলে সংবাদ সেম্মলনে স্বজোরে কেঁেদ দেয় শফিকুর রহমান চৌধুরী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রথম স্ত্রীআয়েশা ছিদ্দিকা বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। আমার স্বামী এহেন জগন্য কাজ করতে পারেনা। এসব আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র। আমার নিজ মেয়ে রূপালীকে অপহরণ করে নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে আমার স্বামীর উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে একইভাবে তার ছেলে আশরাফুর রহমা সাদ্দাম ও তার দাদি ধর্ষণের ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টানন্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করছি। ওই অনুষ্টিত সংবাদ সেম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, শফিকুর রহমান চৌধুরীর মা হালিমা বেগম, স্ত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা, ছেলে আশরাফুর রহমান সাদ্দাম, বোন আনোয়ারা বেগম, ভাই আনিসুর রহমান, হাবিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাসান শরিফ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের নুরুল হোসাইন ও দেলোয়ার হোসাইন প্রমূখ।
Leave a Reply