আজ ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারী । পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে দীর্ঘ নয় মাস অমানবিক কারা ভোগের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করেন। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নৃশংস গণহত্যা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ শুরু করার মূহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের ২ দিন পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বন্দি অবস্থায় তাঁকে পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরের মিলানওয়ালী কারাগারের একটি নির্জন কক্ষে বন্দি রাখে। কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাঁকে কোনো পত্রপত্রিকা পড়াসহ বাইরের পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখে ইয়াহিয়া-টিক্কা খানের সামরিক জান্তা। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৯৩ হাজার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও পাক বাহিনীর কারাগারে বন্দি ছিলেন, তাই তখনো স্বাধীনতার পূর্ণ আস্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিল বাঙালি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যাপক কূটনৈতিক চাপে এবং বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারির মধ্যরাতে পাকিস্তানের স্বৈরাচারি সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আজ সেই ঐতিহাসিক কারামুক্তি দিবসে জাতির পিতাকে “আলোকিত জনপদ” পরিবারের পক্ষে স্মরণ করছি, জানাচ্ছি বিনম্রশ্রদ্ধা।
Leave a Reply