**চান্দগাঁও এলাকার চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে জোড়া খুন মামলার একমাত্র ও প্রধান আসামী র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার।
Reporter Name
-
Update Time :
বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০
-
২৫২
Time View
মোঃ আল আমিন হোসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ গত ২৪ আগস্ট ২০২০ ইং তারিখে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয় গুলনাহার বেগম (৩৩) ও তার ০৯ বছরের শিশু পুত্র রিফাত। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় মৃতের মেয়ে পোশাক শ্রমিক ময়ূরী আক্তার (১৯) গার্মেন্টস থেকে এসে বাথরুমে মায়ের মৃতদেহ ও রান্নাঘরে ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙখলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উক্ত জোড়া খুনের ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মেয়ে ময়ূরী আক্তার বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় আসামী মোঃ ফারুক (৩৩), পিতা- মোঃ সিরাজ, সাং- খাজা রোড কসাইপাড়া, থানা- চান্দগাঁওসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন এর বিরুদ্ধে ০১টি হত্যামামলা দায়ের করে। হত্যাকাণ্ডের পর হতেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ছায়াতদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব-৭ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রধান আসামী জঘণ্য খুনী মোঃ ফারুক চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানাধীন পাক্কার মাথা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০১ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ ভোর ০৪:৩৫ ঘটিকায় র্যাব-৭ এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামীর দেহ তল্লাশি করে তার হেফাজত থেকে ০১ টি বিদেশি পিস্তল, ০২ রাউন্ড গুলি এবং ০১ টি ছুরি উদ্ধার করে। আসামী ফারুককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জোড়া খুনের কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো স্বীকার করে যে, বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়াঝাটি থেকে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সে তার ‘পাতানো বোন’ গুলনাহারকে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি ভিকটিমের ০৯ বছরের ছেলে রিফাত দেখে ফেলায় তাকেও নৃশংস হত্যা করে খুনী ফারুক। ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে র্যাব।
ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
More News Of This Category
Leave a Reply