নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রাণঘাতী করোনার এই মরণ ছোবল আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের ওপর দিয়েও বয়ে যাচ্ছে। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং প্রায় সব ধরনের ব্যবসাবাণিজ্য খুলে দেয়া হলেও বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবং ধারণা করা হচ্ছে এই বন্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। যে কারনে শিক্ষার্থীরা এখন যার যার বাড়িতে অবস্থা করছে। এমতাবস্থায় শিক্ষাকার্যক্রমে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হওযার আশঙ্কা থাকে। এই আশঙ্কা থেকেই সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা শুরু করেছে। শিক্ষাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ প্রোগ্রামের আওতায় সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে এই অনলাইন ক্লাস সরাসরি পরিচালিত হচ্ছে, যা দেশব্যাপী সব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় মাদারীপুরের কলকিনি উপজেলার মধ্যে একমাত্র বিদ্যাপিঠ আলিবার্ড ইন্টারন্যাশনাল (প্রাঃ) স্কুল এ্যান্ড কলেজে প্রায় ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে জুম এ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠদার অব্যহত রাখছেন। এবং এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে নিয়মিত পরিক্ষাও নেয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ও আবিদ আল হাসানসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা নিয়মিতভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করতে ও পরিক্ষা দিতে পারতেছি।
শিক্ষার্থী অভিভাবক মোসাঃ তাহমিনা বেগম ও মোসাঃ মাকসুদা হাসান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা আমাদের বাচ্চাদের এ স্কুলে পরাচ্ছি বলে আজ তারা অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে পারছে।
আলিবার্ড ইন্টারন্যাশনাল (প্রাঃ) স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হেমায়েত হোসেন বলেন, এখানে আছে হোয়াইট বোর্ড, যেখানে শিক্ষক ‘সরাসরি ক্লাস’-এর মতোই লিখতে পারেন, ড্রয়িং করতে পারেন, বোঝাতে পারেন, মুছতে পারেন ইত্যাদি। পরবর্তী সময়ে আবার কখন, কোনো দিন, কোনো সময়, রাতে কিংবা দিনে, সন্ধ্যায় বা বিকেলে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টাই ক্লাসের শিডিউল করার ব্যবস্থা আছে। শুধু দরকার একটি ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট মুঠোফোন। আধুনিক এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে তেমন কোনো কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন নেই।
Leave a Reply