মোঃ জামিল হায়দার (জনি), নাটোর জেলা প্রতিনিধি
নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার ১ নং ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের ধনোকোড়া গ্রামে নানীর বাড়িতে অবস্থানরত অসহায় পিতা-মাতাহীন এতিম তিন শিশু সুরাইয়া (৫), রিয়াদ (৪) ও রিয়ান (৪) কে আজ ৪ ডিসেম্বর-২০২০ অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংগঠন মানবতার আলো এর পক্ষ থেকে শীতের পোষাক প্রদান করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর-২০১৯ বিভিন্ন পত্রিকায় “সুরাইয়া, রিয়াদ ও রিয়ান এর করুন দুঃখের গল্প” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে জানা যায়, এই অসহায় শিশু গুলোর নাম সুরাইয়া, রিয়াদ ও রিয়ান। শিশু গুলোর মায়ের নাম রেনুকা বেগম পিতার নাম বাদল মিয়া। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সুরাইয়া বড়। সুরাইয়ার জন্মের বছর খানেক পর রিয়াদ-রিয়ান জমজ ভাই এর জন্ম। সুরাইয়ার জন্মের বছর খানেক পর রিয়াদ-রিয়ান জমজ ভাই যখন মায়ের পেটে ছিলো তখন ওদের বাবা ওদের মা’কে ডিভোর্স দেয়, বর্তমানে তার কোনো খোঁজ নেই। অসহায় মা শিশু গুলোকে দু’বেলা দু’মুঠো পেটে ভাত দেওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। ভাগ্য যখন বিরোধিতা করে তখন কি আর বাঁচার উপায় থাকে। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শিশু গুলোর মায়ের শেষ সম্বল গার্মেন্টস এর চাকুরিও চলে যায়। অভাবের কাছে পরাজিত হয়ে ওদের মা আত্মহত্যা করে। এই অসহায় শিশু তিনটি এখন ওদের নানী মনোয়ারা বেওয়া এর বাড়িতে অবস্থান করছে। নানীর বাড়ি নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার ধনোকোড়া গ্রামে। নানীও চরম অসহায় কারণ ওদের নানা অনেক আগেই মৃত্যুবরণ করেছে। কোন জমিজমা নেই মনোয়ারা বেওয়া অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। নানীরও মরার উপর খাড়ার ঘা, নিজেই চলতে পারে না এর উপর তিন তিনটা ছোট ছোট নাতিপুতি। অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংগঠন মানবতার আলো’র সভাপতি এস এম আরিফুল হক বলেন, অসহায় শিশু গুলোর যাতে শীতে কষ্ট না হয় সে কারনে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতের পোষাক প্রদান করা হয়। সমাজের বিত্তবানদের এতিম ও অসহায় এই শিশুদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
Leave a Reply