গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন, পশ্চিশ সোনাব গ্রামে মোঃ ইয়াছিন (১৫) তার মা মোছাঃ রেহেনা খাতুন (৪৫) কে দাড়ালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায় উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন, পশ্চিম সোনাব, আধুর ভিটা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে। মোঃ ইয়াছিন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন, সোনাব গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন (রাশিদ) এর ছেলে। মোঃ ইয়াছিন স্থানীয় বলদীঘাট জেএম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার কিছুক্ষণ পর শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ ইয়াছিনের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেছে । সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মোঃ ইয়াছিন প্রায় দুই বছর যাবৎ মানুষিক ভারসাম্যহীন। ইয়াছিন এর মা মোছাঃ রেহেনা বেগম সকাল থেকে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিলো। ঐসময় বাড়ির সকলেরা বিভিন্ন কাজে চলে যাওয়া ফাকা বাড়ি পেয়ে ইয়াছিন তার মাকে কুপিয়েছে। ইয়াছিনের মার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দেখে ইয়াছিন এর মা মোছাঃ রেহেনা খাতুন আহত অবস্থায় ধানের উপর পরে আছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহত মোছাঃ রেহেনা কে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ত্রিশাল থানাধীন এলাকায় আনুমানিক ১২.২০ মিনিটে মৃত্যু বরণ করেন। ইয়াছিন এর বড় বোন মোছাঃ নাসরীন আক্তার জানান, ইয়াছিন বিছুদিন যাবৎ পাগলামী করে। আমার ছোট বোনকে মারধর করতো, তাই আমার বোনকে নিয়ে আমি স্বামীর সাথে থাকি। কিন্তু আজকে দেখা গেলো আমার মাকেই মেরে ফেললো। ইয়াছিন এর পিতা, মোঃ আনোয়ার হোসেন রাশিদ জানান, আমার ২ জন ছেলে ও ৫ জন মেয়ের মাঝে ইয়াছিন ৪ নাম্বার। ছেলে ইয়াছিন মানুষিক রোগী। গত দুই বছর আগে তাকে চিকিৎসা করিয়ে ভালো করেছিলাম। এখন আবার পাগল হয়েগেছে। শ্রীপুর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) মোঃ মুনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনা শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি এবং ইয়াছিনকে আটক করেছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে । তিনি আরো জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হয়েছে মোঃ ইয়াছিন মানুষিক ভারসাম্যহীন।
Leave a Reply