শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

বশেমুরবিপ্রবিতে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের দাবি নজিরবিহীন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৩১ Time View

 নীতি সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি 

গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির দাবি অগ্রহণযোগ্য এবং স্বার্থন্বেষী ব্যক্তিদের সাবধান করে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আজ ২৯নভেম্বর (রবিবার) রেজিস্টার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ২৭/১০/২০২০ইং তারিখে ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তি হবার দাবী নিয়ে পূজার সরকারি ছুটি চলাকালিন সময়ে ৭/৮ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে অনশন শুরু করে। তৎপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনশনকারিদের ভর্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ০১/১১/২০২০ইং তারিখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১০/১২/২০১৯ইং তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় এবং ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য মােতাবেক পহেলা জানুয়ারি ২০২০ থেকে বর্ণিত সেশনের ক্লাস শুরু হয়। মেধা তালিকা ছাড়াও দুটি অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২৯/১২/২০১৯ইং তারিখ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি পূর্বক পহেলা জানুয়ারি ২০২০ থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু করা হয়। তদুপরি কিছু আসন ফাঁকা থাকে এবং কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় চলে গেলে আরাে কিছু আসন ফাঁকা হয় । এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ ভর্তি সংক্রান্ত কোর কমিটি ফাঁকা আসন সমূহে ভর্তি করার জন্য ২১/০১/২০২০ইং তারিখে ৩য় অপেক্ষমান তালিকার শিক্ষার্থীদের ডাকে এবং পরবর্তীতে আর কোনাে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৩য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পাঠক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৩য় অপেক্ষমাণ তালিকা হতে সর্বশেষ সুযােগ সহ শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, ক্লাস শুরুর বেশিদিন পর শিক্ষার্থী ভর্তি করলে পরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীবৃন্দ ক্লাসে তাল মেলাতে পারে না এবং পরবর্তীতে খারাপ ফলাফল করে ও হতাশায় ভােগে। ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও সমাপনের পরে পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম আরম্ভ করার কার্যক্রমে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে এবং এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যা ক্ৰমান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও স্বার্থের পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষনে প্রতীয়মান হয় যে, ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠভাবে সম্পাদন হয়েছে। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেই ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পন্ন করেছে বিধায় পুনরায় শিক্ষার্থী ভর্তির আর কোন সুযােগ নেই। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তি ঘােষণার ৮/৯ মাস অর্থাৎ ক্লাস শুরুর হবার ৭/৮ মাস পরে।শিক্ষার্থী ভর্তির কোন নজির নেই। সুতরাং পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু না করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তির জন্য এমন দাবী ও অনশনের বিষয়টি নজিরবিহীন ও দুঃখজনক একটি ঘটনা যা ক্রমান্তরে প্রমাণিত যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। এই ষড়যন্ত্রকারিরা বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিতে তাঁরই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে ভর্তি বাণিজ্যের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের থেকে সংশ্লিষ্টদের সাবধান থাকার আহবান জানানাে হলাে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category