স্টাফ রিপোর্ট: সবুজ বালা
দীর্ঘ ১৩ বছর পর মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নতুন নির্মিত হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ( বৃহস্পতিবার) ১৯ নভেম্বর দুপুরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান মোংলাস্থ ডেলটা ব্যারাকে অবস্থিত শ্রমিক হাসপাতাল ও কল্যান চিকিৎসা কেন্দ্রটির শুভ উদ্বোধন করেন। গত ২০০৮ সালের ৪ মে তত্বাবধায়ক সরকার ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড বিলুপ্তি ঘোষনা করে। তার সাথে ১৯৫০ সালে বন্দর সৃষ্টি লগ্ন থেকে পরিচালতি হয়ে আসা বন্দরের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নির্মিত হাসপাতালটিও বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকে জাহাজে কর্মরত অবস্থায় আহত হয়ে বিনা চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব হয়েছে অনেক শ্রমিককে। শ্রমিকদের হাসপাতাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মোংলা বন্দর নিয়ে সরকারের অনেকে বড় পরিকল্পনা রয়েছে, তাই কোন কারনে যেন বন্দরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সবার কাছে আহবান জানান তিনি। শ্রমিকদের কোন সমস্যা থাকলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে বলেও আশ্বাস দেন সিটি মেয়র এসময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, এই হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রটি উদ্বোধনের কারণে মোংলা বন্দরে আগত জাহাজের পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজে নিয়োজিত শ্রমিক ও কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবা পাবেন। মোংলা বন্দরে কর্মরত শ্রমীকদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ও চাওয়া ছিল তাদের জন্য একটি হাসপাতাল। শ্রমিক হাসপাতাল ও কল্যান চিকিৎসা কেন্দ্রটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তাদের সেই দীর্ঘ প্রতিক্ষার স্বপ্ন পূরণ হলো। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন্দরের পরিচালক প্রশাসন গিয়াস উদ্দিন’র সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হওলাদার, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজ বংশী, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, পৌর আওয়াঃ সাধারন সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, থানা যুবলীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, মোংলা বন্দর বার্থ শিপিং অপারেটন এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সাধারন সম্পাদক মোস্তফা জেসান ভুট্ট, কাষ্টমস ক্লিয়ারিং ও ফরওয়াডিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সুলতান হোসেন খান, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও শিপিং ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সালাম, মোংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বন্দর ব্যাবহারকারী এইচ এম দুলাল, বন্দর ব্যাবহারকারী মশিউর রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply