বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.)শওকত আলী আজ সকাল ৯ টায় ঢাকার একটা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মহান মুক্তিযুদ্ধা শওকত আলীর জন্ম ২৭ জানুয়ারী ১৯৩৭, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার লোনসিং বাহের দিঘীরপাড় গ্রামে। তিনি এলএলবি ডিগ্রি অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২৪ জানুয়ারী ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৬৮ সালের ১০ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন পদে চাকরিরত অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের মালির ক্যান্টনমেন্ট থেকে গ্রেফতার হন। তাঁকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ‘আগরতলা মামলা’য় অভিযুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর আবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে অকালে অবসর দেওয়া হয়। অতঃপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান। ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বিজয়ী হন এবং আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের হুইপ নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে জাতীয় সংসদের ডিপুটি স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলী এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন “আলোকিত জনপদ” এর সম্পাদক বাবু অরিন্দম হালদার।
বাবু অরিন্দম হালদার বলেন – বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করনসহ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় ও বাংলাদেশের জনগনের অধিকার সুনিশ্চিত করনে পরাক্রমশালী বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
জাতি এক প্রবীণ জননেতাকে হারালো, আমরা হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত দেশ প্রেমিক সৈনিক। জাতি কোনদিন এ বিজ্ঞ নেতার শূন্যতা পূরণ করতে পারবে ন।
আমরা মরহুম জাতীয় বীর শওকত আলীর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
Leave a Reply