শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাদারীপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িত ৩ জনকে কারাদণ্ড টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুর শহর জলমগ্ন, দুর্ভোগে জনজীবন যশোরের শার্শায় গণধর্ষণ মামলায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক-১ নড়াইলে অনলাইন প্রতারণার প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার ভারতীয় যুবক প্রেমের টানে হারাগাছে পুলিশী হেফাজতে ফিরে গেলেন নিজ দেশে রাজৈরে ১৫০০ পিচ ইয়াবা সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজৈর থানা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাভজনক বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা বহিষ্কার গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ১ নড়াইলে আশুরা উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায়ের “তাজিয়া মিছিল”

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে নতুন করে পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে : শিল্পমন্ত্রী

আলেকিত জনপদ ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
  • ২৮০ Time View

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে নতুন করে ভাবার ও পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। তাঁরাই আমাদের শিল্পোন্নয়ন তথা সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভিত্তি রচনা করে।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিসিক আয়োজিত ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ‘কারুশিল্পী পুরস্কার ১৪৩০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ক্ষুদ্র শিল্প থেকেই বৃহৎ শিল্পের সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিসিক থেকে তারা প্রশিক্ষণ, প্লট বরাদ্দসহ বিভিন্ন কারিগরি সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে এন্টারপ্রাইজ সৃষ্টির মূল ভিত্তি মূলধন বা পুঁজির অভাবে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার উদ্যোগসমূহ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় বা বাস্তব রূপলাভ করতে পারে না। সেজন্য বিসিকের আওতায় কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিসিক ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা যেতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী ৩ বছরের মধ্যে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছে। সেজন্য এখন থেকেই আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে পাট, চামড়া, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ সম্ভাবনাময় শিল্প খাতসমূহের উন্নয়ন ও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারেও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মানোন্নয়নপূর্বক কোয়ালিটি প্রোডাক্ট উৎপাদন করে তাদের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করতে পারে। তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তারা অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সুফল যাতে পায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নূরুল মজিদ বলেন, কারুশিল্পীগণ তাঁদের সুনিপুণ মেধা, মনন, দক্ষতা ও কারুকার্যে তৈরি শিল্পকর্মে আমাদের গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘কারুশিল্পী পুরস্কার ১৪৩০’ প্রদানের মাধ্যমে কারুশিল্প খাতে নব নব উদ্যোগ সৃষ্টি হবে ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে যা প্রকারান্তরে এ শিল্পের প্রসারে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। তিনি এসময় পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল কারুশিল্পীকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

বিসিকের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মুখ্য উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমান এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিন হেলালী ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সেলিম হোসেন। ‘কারুশিল্পী ১৪৩০ পুরস্কার’ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ‘কারুরতœ’ গোপেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ও ‘কারুগৌরব’ বীথিকা জোদ্দার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কারুশিল্পীদের উদ্ভাবিত শিল্পপণ্য জনসাধারণের মাঝে প্রচার এবং নান্দনিক কারুপণ্য উদ্ভাবন ও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ‘বিসিক নকশা কেন্দ্র’ ১৯৮২ সাল থেকে ‘কারুশিল্পী পুরস্কার’ প্রদান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর ১০টি বিষয়ে ১০জন কারুশিল্পীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১জন শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পীকে ‘কারুরতœ’ পুরস্কার এবং অন্য ৯জন কারুশিল্পীকে ‘কারুগৌরব’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

মন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত কারুশিল্পীদের হাতে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ‘কারুরতœ’ পুরস্কারের জন্য সম্মানী হিসেবে ৫০ হাজার টাকা ও ‘কারুগৌরব’ পুরস্কারের জন্য সম্মানী হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
মন্ত্রী পরে বিসিকের প্রদর্শনী কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense