মাগুরা সংবাদদাতাঃ মাগুরার জাগলা গ্রামে সুদখোরদের তাণ্ডবে ও চক্র সুদের ফাঁদে পড়ে ভিটেমাটি ছাড়া হতে চলেছে গ্রামের গরিব অসহায় মানুষ। মাগুরা জেলার মধ্যে জাগলার অবস্থা ভয়াবহ, সাধারণ মানুষের মতে “সুদখোর ছাড়া জাগলাতে কোনো মানুষ নেই” , এখানে নারী-পুরুষ এমনকি কিশোররাও এই সুদে কারবারি পেশার সাথে জড়িত। এদের আছে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী ও নিজস্ব মাতুব্বর বাহিনী, কেউ টাকা দিতে না পারলে নিজস্ব মাতুব্বর বাহিনী দিয়ে বিচার করা হয় এবং রাতে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর নির্যাতন চালানো হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় হাট বাজারে আসা। সরেজমিনে জাগলা গ্রাম ঘুরে জানা গেল এই গ্রামের সুদখোরদের দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপে রয়েছে নওশের মোল্লা, কামরুল ইসলাম, হুমায়ুন মোল্লা, মনিরুল ইসলাম, মুন বিশ্বাস, সবেদ আলী, মোসাম্মৎ খোদেজা বেগম, আছেল, আরজ আলী, আজিজুর, নওশের, মিলন মোল্লা, আবুয়াল মোল্লা, ইমন মোল্লা সহ আরো অনেকে। অন্য গ্রুপে আছে জাগলার বিনয় সাহা, জামাল শিকদার, হাফিজার, জিয়া, ছানি, ছবেদ কবিরাজ, মোহন সাহা সহ আরো অনেকে, বিরপুর গ্রামের আশরাফ, মাহাবুব, চাপড়া গ্রামের খেজের। লোভনীয় এই সুদে ব্যবসায় ১ লাখ টাকার এক মাসের সুদ চল্লিশ হাজার টাকা, জুয়াড়িদের ক্ষেত্রে দশ হাজার টাকায় দিনে সুদ ১০০০ টাকা। সুদে কারবারিদের আসল থেকে সুদের দিকে নজর থাকে বেশি, কেউ কেউ নানা ফন্দিতে সুদ বাড়িয়ে, সুদের পরিবর্তে জমি ও ভিটেমাটি লিখে নেন। এভাবেই ভিটেমাটি হারিয়ে অন্তত ১০টি পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছেন তাদের মধ্যে রাহিদুল ইসলাম, মফিজ ডাক্তার, জলিল মল্লিক, সাহেব আলী, পরেশ রায় (আঙ্গরদাহ), মনোরঞ্জন বিশ্বাস (নিধি পুর), সন্তোষ বিশ্বাস ও সঞ্জিত মাস্টার (লক্ষ্মীপুর), তাহের মোল্লা সহ আরো কয়েকজন। জাগলা গ্রাম ও আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে সুদে কারবারিরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে গেছে যে প্রশাসন যদি কঠোর হাতে দমন না করে তাহলে মাসখানেকের মধ্যে আরও অন্তত শতাধিক পরিবার গ্রামছাড়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে মাগুরা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান যদি কোন ভুক্তভোগী এসে থানায় অভিযোগ দেন তাহলে আমরা অবশ্যই এই সুদখোরদের বিরুদ্ধে কঠোর একশন দেবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুদখোর নিয়ন্ত্রণে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
Leave a Reply