শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন

সরিষাবাড়ি থানায় হত্যা মামলার আসামি দশমিনায় গ্রেফতার -১

শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, পটুয়াখালী
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৫ Time View

পটুয়াখালী জেলা দশমিনা উপজেলা গ্রেফতার এবং রহস্য উদঘাটন জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলার আসামি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাসিন্দা কে নিজ এলাকা দশমিনা থেকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১ এর অভিযানকারী দল। পটুয়াখালী র‌্যাব-৮, সিপিসি-১ জানান, পটুয়াখালী র‌্যাব-৮, সিপিসি-১ ও র‌্যাব-১, সিপিসি-১, এর একটি যৌথ অভিযানকারী দল সোমবার (১৯শে ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪:৪০ মিনিটের সময় দশমিনা উপজেলার আরোজবেগী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ ওমর ফারুক রাশেদ ওরফে রাশেদুল চৌকিদার (৪০), পিতা-মৃত মোশারেফ চৌকিদার, মাতা- মোছাঃ মাকছুদা বেগম, সাং- আরোজবেগী, থানা-দশমিনা, জেলা- পটুয়াখালীকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার হাসড়া মাজালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল কাদের ওরফে মধূ (৩৮) পেশায় ছিলেন একজন অটো চালক। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৩/১০/২০২৩ ইং তারিখ বিকেলে অটো রিক্সা নিয়ে বাড়ি হতে বাহির হয়।

ঠিক সময় বাড়িতে না ফেরায় তার আত্বীয় স্বজনেরা তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজির, উক্ত জিডি তদন্তাধীন সময় পুলিশ নিখোঁজের পরিবারকে ঝিনাই নদীর পারে ভেসে আসা একটি অজ্ঞাত লাশের সন্ধান দেয়।

পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা উক্ত লাশ নিখোঁজ আব্দুল কাদেরের বলে সনাক্ত করে। লাশ পেলেও পাওয়া যায়নি অটোরিক্সা ও মোবাইল। পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা যোগসাজসে তাকে হত্যা করে ঝিনাই নদীতে ফেলে দিয়ে অটোরিক্সা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।

পরবর্তীতে মৃত আঃ কাদেরের পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং-১৬/২৪৯, তারিখঃ ২৬/১০/২০২৩ইং, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ দঃ বিঃ।

উক্ত ঘটনা র‌্যাবের নজরে আসলে র‌্যাব আসামিদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের লক্ষে ব্যাপক ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতারকৃত ওই আসামি কে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে সিডিএমএস এবং পিসিপিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যেমন ১। বিএমপি এর কোতয়ালী থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-০৮/০৩/২০১৭, জিআর-১৫২/১৭, ধারা-৪১৯/৩৭৯ পেনাল কোড, ২। দশমিনা থানার মামলা নং-০২/১২৮, তারিখ-০৩/১২/২০২০, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড, ৩। বাকেরগঞ্জ থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-০৯/০৬/২০১৪, ধারা- ৩৭৯ পেনাল কোড এবং ৪। বাউফল থানার মামলা নং-০৮/২৮৮, ধারা-৩২৮/৩৭৯ পেনাল কোড। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

(২০/০২/২০২৪) পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানা এলাকা হতে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার ক্লুলেস হত্যা মামলার সাথে জড়িত, চেতনা নাশক দিয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্য লুট, গুম ও লুটপাটের সাথে জড়িত ০১ জন পলাতক আসামী র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এবং র‌্যাব-১, সিপিসি-১ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।

র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র‌্যাব-১, সিপিসি-১, এর একটি যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ১৯/০২/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৬:৪০ ঘটিকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার হাসড়া মাজালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল কাদের @ মধূ (৩৮) পেশায় ছিলেন একজন অটো চালক। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন ইং ২৩/১০/২০২৩ তারিখ বিকালে অটো রিক্সা নিয়ে বাড়ি হতে বাহির হয়।

ঠিক সময় বাড়িতে না ফেরায় তার আত্বীয় স্বজনেরা তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং-১১৯৩, তারিখ-২৪/১০/২০২৩ইং)। উক্ত জিডি তদন্তাধীন সময় পুলিশ নিখোঁজের পরিবারকে ঝিনাই নদীর পারে ভেসে আসা একটি অজ্ঞাত লাশের সন্ধান দেয়।

পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা উক্ত লাশ নিখোঁজ আব্দুল কাদেরের বলে সনাক্ত করে। লাশ পেলেও পাওয়া যায়নি অটোরিক্সা ও মোবাইল। পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা যোগসাজসে তাকে হত্যা করে ঝিনাই নদীতে ফেলে দিয়ে অটোরিক্সা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে মৃত আঃ কাদেরের পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে (জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার মামলা নং-১৬/২৪৯, তারিখঃ ২৬/১০/২০২৩ইং, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ দঃ বিঃ)। উক্ত ঘটনা র‌্যাবের নজরে আসলে র‌্যাব আসামীদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের লক্ষে ব্যাপক ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯/০২/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৬:৪০ ঘটিকার সময় সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এবং র‌্যাব-১, সিপিসি-১ এর যৌথ অভিযানিক দল পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানাধীন আরোজবেগী এলাকায় উপস্থিত হয়ে ঘেরাও পূর্বক ০১ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম হলো মোঃ ওমর ফারুক রাশেদ @ রাশেদুল চৌকিদার (৪০), পিতা-মৃত মোশারেফ চৌকিদার, মাতা- মোছাঃ মাকছুদা বেগম, সাং- আরোজবেগী, থানা-দশমিনা, জেলা- পটুয়াখালী।

সিডিএমএস এবং পিসিপিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে (১। বিএমপি এর কোতয়ালী থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-০৮/০৩/২০১৭, জিআর-১৫২/১৭, ধারা-৪১৯/৩৭৯ পেনাল কোড, ২। পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার মামলা নং-০২/১২৮, তারিখ-০৩/১২/২০২০, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড, ৩। বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-০৯/০৬/২০১৪, ধারা- ৩৭৯ পেনাল কোড এবং ৪। পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার মামলা নং-০৮/২৮৮, ধারা-৩২৮/৩৭৯ পেনাল কোড)। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category