দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জন্য নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করে তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দোকারের হাতে তুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম।
এছাড়া এ আসনের অন্য প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন লস্কার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো: সহিদুল ইসলাম মিন্টু (বাংলাদেশ কংগ্রেস), শেখ আবুল কালাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), সৈয়দা লিমা হাসান (গণফ্রন্ট) ও মাহাবুর মোল্লার (জাকের পার্টি) হতে প্রতীক তুলে দেয়া হয়।
এ সময় শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারন সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজমসহ জেলা এবং কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ-০১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানের জন্য নৌকা প্রতীক তার প্রতিনিধির হাতে তুলে দেয়া হয়। এছাড়া এ আসনের অপর প্রার্থীরা এ্যাভোকেট সহিদুল ইসলাম মোল্যা (জাতীয় পার্টি), মো: কাবির মিয়া (স্বতন্ত্র), জাহিদুল ইসলাম (তৃণমুল বিএনপি) ও শেখ মো: আব্দুল্লাহর (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) হাতে প্রতীক তুলে দেন।
সকাল সাড়ে ১০ টায় গোপালগঞ্জ-০২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিমের জন্য নৌকা প্রতীক তার প্রতিনিধির হাতে তুলে দেয়া হয়। এ আসনের অন্যন্য প্রার্থী কাজী শাহীন (জাতীয় পার্টি), মো: আমিনুল হাসান শাহীন (স্বতন্ত্র), মো: জামাল উদ্দিন শেখ (তৃণমুল বিএনপি), মো: ফুল মিয়া মোল্লা (জাসদ) ও মামুনুর রশীদের (মুক্তির জো্ট) কাছে প্রতীক হস্তান্তর করেন।
প্রতীক বরাদ্দ শেষে শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। উসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য নেতাবর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশকে উন্নয়নের শেখরে নিয়ে যাবেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী শাহীন বলেন, সরকার পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন হওয়া জরুরী। নির্বাচনের মধ্যেমে সরকার পাল্টানো সহজ মাধ্যম। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আছে এবং লড়বে। আশা করি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জেলা রিটারনিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রচারনা চালানোর অনুরোধ জানান। তিনি আরো জানান, গোপালগঞ্জ-১ আসনে ৫ জন ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে ৬ জন ও গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন। জেলার তিনটি আসনে মোট ১৭জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
Leave a Reply