বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয় নিয়ে এখন— প্রায় সময়ই প্রশ্ন ওঠছে— যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে। এ ব্যাপারে নিয়মিত প্রশ্ন করছেন সাংবাদিকরা; সেগুলোর উত্তরও দিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
তেমনই মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ওঠেছিল বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ক একটি প্রশ্ন। কিন্তু প্রশ্নটির উত্তর সরাসরি না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
তাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনাকে (ম্যাথু মিলার) অসংখ্য ধন্যবাদ— আমার দুটি প্রশ্ন আছে। একটি হলো বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবেদন নিয়ে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়, বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এরমাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ কমে গেছে। কিন্তু এখন শঙ্কা ওঠছে যে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে সহিংসতা হচ্ছে— এতে করে সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর পুনরুত্থানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি? এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে আপনি কি কিছু বলতে পারবেন?’
এই প্রশ্নের সরাসরি (কোনো) উত্তর না দিয়ে মিলার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই, এবং আমাদের নীতি এটিই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটিই আমাদের মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে।’
মিলারের এমন উত্তরের পর ওই সাংবাদিক বলেন, ‘(প্রশ্নটি) এটি ছিল না— এটি ছিল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে— সন্ত্রাসবাদের উত্থান— নির্বাচন নিয়ে নয়।’
এরপর মিলার বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি। আমরা গতকাল বা কয়েকদিন আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। ওই প্রতিবেদনে যা আছে এরচেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নেই।’
এরপর ওই সাংবাদিক দ্বিতীয় প্রশ্ন করতে গেলে তাকে থামিয়ে দিয়ে ম্যাথু মিলার অন্য সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘প্রশ্ন করুন, না যান— আমরা অন্য বিষয়ে যেতে চাচ্ছি, প্রশ্ন করুন।’
Leave a Reply