পাসপোর্ট, ভিসা, টিকেট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়াই সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্লেনে উঠা জুনায়েদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
জেলা প্রশাসকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জুনায়েদের বাড়ির সামনে পারাপারের একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এতে জুনায়েদের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হল। কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গণশুনানীতে অংশ নিয়েছিল জুনায়েদ।
সেখানে সে নিজের পাইলট হওয়ার ইচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাড়ির সামনের বাঁশের সাঁকোর বদলে মানুষের পারাপারের জন্য একটি কাঠের সেতু বা ওয়াকওয়ে বানানোরও আবদার জানায়।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম তার স্বপ্ন পূরণের জন্য গোপালগঞ্জ শিশু পরিবারে তার ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন এবং বাড়ির সামনে একটি ওয়াকওয়ে বা কাঠের সেতু তৈরি করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
সে নির্দেশনা অনুযায়ী মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুনায়েদের বাড়ির সামনে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেন। কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়ে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম তার আরেকটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করায় জুনায়েদের সঙ্গে খুশি স্থানীয়রা।
দীর্ঘদিনের খাল পারাপারের যে সমস্যা ছিল, তা থেকে রেহাই পেয়ে জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সবাই। সেতু নির্মাণ করায় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমকে ধন্যবাদ জানিয়ে জুনায়েদ বলে, ‘আমার আবদারে সেতু হওয়ায় আমি খুবই খুশি।
এলাকায় সবাই আমাকে এখন খুব ভালো বলছে।’ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন বলেন, পাইলট হওয়ার ইচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাড়ির সামনের বাঁশের সাঁকোর বানানোর আবদার করেছিল জুনায়েদ। তার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাড়ির সামনে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়াই কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চড়ে বসে ১২ বছর বয়সী শিশু জুনায়েদ মোল্লা। তারপরও এ ঘটনায় বিমানবন্দরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জুনায়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে। সংবাদমাধ্যমে বেশ প্রচার হওয়ায় জুনায়েদের ঘটনাটি অনেকেরই জানা। সেদিন তার স্বপ্ন পূরণ না হলেও পরবর্তী সময়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাইলট হতে চাওয়া জুনায়েদের স্বপ্নের এক ধাপ পূরণ হয়।
Leave a Reply