হাফিজুর রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুরে ফিল্মি স্টাইলে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ অনেক জল্পনা-কল্পনার পর থানায় মামলা। জানা গেছে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর মাঠপাড়ার আহার আলীর নাতনী সানজিদা খাতুন (১৫) জয়রামপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ফিল্মি স্টাইলে কথা আছে বলে ডেকে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে জয়রামপুর মাঠপাড়ার ডালুর ছেলে স্বাধীন (২০)ও সহযোগীতায় ছিলেন একই এলাকার সুবারেকের ছেলে রাহুল (২০) হাশেমের ছেলে শাকিল (২২) এসময় সানজিদার চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশী বুদোর ছেলে, মজিবুল ও গনের ছেলে, খোকা ছুটে আসে, এবং তাদেরকে দেখে ফেলে পরে মজিবুল ও খোকা সানজিদাকে উদ্ধার করে তার কথা শুনতে চাইলে উক্ত ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এসময় মজিবুল ও খোকা বলে আমরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ বাড়ির ভেতর থেকে চিৎকার করতে শোনা যায় তখনই আমরা ছুটে গিয়ে দেখি ধর্ষক স্বাধীন সানজিদাকে ধর্ষণ করছে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক স্বাধীন ও তার পাহারাদার দুইজন পালিয়ে যায়।পরে আমরা সানজিদাকে উদ্ধার করে তার নানা বাড়ির লোকজনকে খবর দিয়ে ওই বাড়িতে নিয়ে আসি। এদিকে সানজিদা বলেন আমি ছোটবেলা থেকেই নানার বাড়িতে মানুষ এবং এখানকার জয়রামপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি স্কুলে যাবার সময় এই বখাটে স্বাধীন আমাকে উত্যক্ত করত বিগত ১ বছর ধরে আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমোজ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আনুমানিক ১মাস আগে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বাধীনের বাড়ির পাশে জৈনিক ব্যক্তির বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে আমার দেহ ভোগ করে এরই সূত্র ধরে গত ৫ ই নভেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমার মামাতো বোন কে নিয়ে পাশে একটি দোকানে চকলেট কিনে ফেরার পথে স্বাধীন আমাকে বলে তোমার সাথে কিছু কথা আছে এই বলে সুবারেকের ছেলে রাহুল দের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে পাঁজাকোলা করে রুমের ভেতরে খাটের উপরে নিয়ে যায় এবং বাইরে থেকে মেন গেটে তালা মেরে দেন রাহুল ও শাকিল। পরে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বাধীন ধর্ষণ করে। পরে আমার নানার বাড়ীর লোকজন এসে আমাকে বাড়ি নিয়ে যায় পরে এলাকায় জানাজানি হলে। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমি সানজিদা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করি।এদিকে আরো জানা যায় ধর্ষক স্বাধীনের বাড়ির লোকজন তাদেরকে এক প্রকার হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছে। এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল খালেক বলেন, স্কুল ছাত্রী সানজিদা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে আসামি স্বাধীনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামি স্বাধীনকে না পেয়ে তার মা ও বোনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
Leave a Reply