গাজীপুর প্রতিনিধি, গাজীপুরের কাশিমপুরে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে গাজীপুর পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান। মাকছুদের বলেন, গত ২৯ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর বাগবাড়ী এলাকার ক্যাপ ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশে নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত একটি ভবনে বালুর নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ বছরের একটি মেয়ের মাথার খুলি, ১৯টি হাড়, চামড়া ও একটি হাফপ্যান্ট উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটি ওই এলাকার মনোয়ারের বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার মেয়ে বলে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় স্থানীয় কাশিমপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও লাশ উদ্ধারের পর গত ৩০ অক্টোবর শিশুটির মা অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শিশুটির মা-বাবা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। মামলাটি গাজীপুর পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর হলে গত রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ওই দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “তারা শিশুটিকে বিভিন্ন সময় চকলেট ও বিস্কুট কিনে দিত। “গত ৯ অগাস্ট সকালে তারা দুজনে মিলে রাসেলের ঘরের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।পরে শিশুটি বাবা-মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাকে গলাটিপে হত্যা করে বালুর নিচে লাশ ফেলে রাখে দুইজন।
Leave a Reply