নীতি সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আসন সংখ্যা ফাঁকা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন। চলতি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমান তালিকা শিক্ষার্থীরা একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবগত করেও কোন সুষ্ঠ সমাধান না পেয়ে আজ ২৭ অক্টোবর(মঙ্গলবার) অপেক্ষমান থাকা শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন পালন করছে। এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর গেল বছরের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া অপেক্ষমান তালিকায় শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে সংখ্যা ফাঁকা থাকার সুবাদে অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করেও ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষা সংকট থেকে অবসান করার দাবি জানানোর পাশাপাশি বশেমুরবিপ্রবি প্রাক্তন দায়িত্বরত উপাচার্যের নিকট চিঠি প্রদান করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূণ্যভূমি গােপালগঞ্জে তারই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষা জীবনকে অস্তিত্ব সংকটের মুখে ফেলা হচ্ছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পরীক্ষা এবং ফলাফল ঘােষণার নির্ধারিত সময়সূচী পরিবর্তন এবং পরীক্ষার হল পরিবর্তনে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে ভােগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। একইসাথে পরীক্ষার ফলাফল ঘােষণায় বিলম্ব করে পূর্ববর্তী প্রশাসন। এছাড়াও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করার পর আসন সংখ্যা ফাঁকা রেখে হঠাৎ ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। অনশনরত শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা গ্রহণের সুযােগ করে দিতে হবে। অন্যথায়, আমরা আমাদের অনশন চালিয়ে যাব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো ৩-৪ বারের বেশি অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয় না, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমে যায়। তবে চলতি বছরে যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদেরকে পরবর্তী শিক্ষাবছরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের কথা বলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন। অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের থেকে অধিকাংশই দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে, তারা পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে (তৃতীয়বার) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করেন রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা। অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরাসরি কোন সমাধান করতে পারবেন কিনা এবিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন তবে বিষয়টিকে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের তুলনায় আবাসিক সুযোগ-সুবিধা একেবারেই নগন্য বলে জানান তিনি। তাই এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply