শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

মিরপুরে আ.নেতার উপর হামলা;আহত-৩

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৬৬ Time View
নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় জমি ভরাটের পাওনা টাকা চাওয়ায় সোজা উদ্দিনের পালিত ক্যাডার আনোয়ার হোসেন রনি (পানি রনি)সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমানসহ তার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে গত সোমবার, ১২/১০/২০২০ ইং তারিখে মামলা দায়ের করেন খলিলের স্ত্রী বিথী বেগম মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন-১, মোঃ আনোয়ার হোসেন রনি (পানি রনি) (৪০),২,আশিক(২৮), ৩ মোঃ মিঠু(৩৯),৪,ছোট রুস্তম (৩৭), ৫,বড় রুস্তম (৩৭),৬, মোঃ খালেকুজ্জামান জীবন (৩৯), ৭,রতন মুন্সী (৩৫)সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫।
মামলার অভিযোগ সুত্রে, জানা যায়, খলিলুর রহমান এলাকায় বালু ভরাটের কাজ করে সুজা উদ্দিনের এর মালিকানা প্লটে। বালু ভরাট বাবদ সুজা উদ্দিনের নিকট পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাইতে থাকে। পরে সুজা উদ্দিনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ১০/১০/২০২০ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়রি নং ৯৬৪ করেন খলিল। পরদিন ১১/১০/২০২০ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উক্ত জায়গায় সীমানায় পিলার বসানোর জন্য উক্ত বিবাদীরা আসলে তাদের সাথে খলিলুর রহমানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ১নং বিবাদী আনোয়ার হোসেন রনি ধারালো চাপাতি দিয়ে আওয়ামীগ নেতা খলিলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারতে গেলে উক্ত কোপ কর্মচারী মোঃ সাইফুল এর মাথায় লেগে মাথার হাড় কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং বিবাদী আশিক ধারালো দা দিয়ে কর্মচারী মাছুদ এর মাথার বাম পাশে কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। খলিলের ছোট ভাই মোঃ কামাল (২৩) এগিয়ে আসলে ৩নং বিবাদী মিঠুর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। বিবাদী ছোট রুস্তম, বড় রুস্তম, রতন মুন্সী সহ অন্যন্য বিবাদীরা খলিলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে এক পর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা সবাই কে প্রানে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
একাধিক স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় , খলিলুর রহমান পল্লবী ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে দলীয় কর্মকাণ্ডের প্রতি সফল ভাবে কাজ করে আসছেন। এলাকায় অবহেলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিমখানার দায়ীত্ব কাধে নিয়ে তা উন্নয়ন করার চেষ্টা করে চলেছেন। বিএনপি জামাতের আমলে বহু হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে বিরোধী দলের সাথে কখনোই আপোষ করেনি। বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন মাসের পর মাস।বাউনিয়াবাধ এলাকায় খলিলের জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্বি হয়ে পরেছে। যা দেখে নিজ দলের ক্ষমতাসীন নেতাদের চোখ কপালে। তাই তারা খলিলের বিরুদ্ধে বর্তমানে খোদ স্থানীয় নব আওয়ামীলীগাররা উঠে পড়ে লেগেছে একের পর এক হামলা, মিথ্যে মামলাসহ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন ও ইউটুব চ্যানেল ভুয়া ও সংবাদ প্রচার করে খলিলের রাজনৈতিক ইমেজ ধ্বংস করার পায়তারায় নেমেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫নং ওয়ার্ডের এক আওয়ামীলীগের নেতা বলেন, খলিলের অপরাধ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় বিদ্রোহী প্রার্থী জুয়েল রানাকে হারিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে এনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সুনাম রক্ষা করেছে। ঢাকা ১৬ আসনে আওয়ামিলীগের দুই শক্তিধর নেতা একজন স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা অপরজন এস এম মান্নান কচি। এমপির বিদ্রোহী প্রার্থী জুয়েল রানা কে হারিয়ে নৌকার মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ নান্নুর পক্ষে কাজ করাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী আওয়ামীলীগ নেতা খলিল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি দলের কর্মি হয়ে তার নির্দেশ মেনে নির্বাচনে কাজ করেছি এবং জয় নিশ্চিত করেছি। বিরোধী পক্ষের লোকজন নির্বাচনে হেরেই দলীয় অফিস, আমার ঘরবাড়ি, গাড়ী ভাংচুর করেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি আমাকে কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে হেরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হুমকি ও বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আগে বিএনপি জামাতের মামলা ও হামলার শিকার হয়েছি তখন ভায়পানি কিন্ত এখন তো আমিসহ আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনায় ভুগছি ভয়ে ভুত হয়ে পড়েছি। খালেক নিজেরা নিজের মাথা সামান্য আঘাত করে আমার নামে মিথ্যে মামলা করেছে। আমি বাসায় থাকতে পারিনা প্রশাসন ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভয়ে।
তিনি আরো বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনসাধারন লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ১নং আসামী আনোয়ার হোসেন রনি (পানি রনি) প্রকৃত একজন নারী খেকো। দলীয় ও পরিচয় দিয়ে অবৈধ পানির ব্যবসা, শেখ কামাল স্কুল থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে সড়কের উপর চোরাই মোবাইল মার্কেট বসিয়ে ব্যবসা। রনির বয়স ৪৮/৫০ হলেও এখনও সে বিবাহ করেন নাই। বরং টাকার লোভ দেখিয়ে মহল্লার অন্যের স্ত্রীর দিকে কু দৃষ্টিতে দেয়। সুন্দরী কারো বৌ দেখলেই তিনি পাগল হয়ে যান সংসার ভাঙ্গনে। এমনো অভিযোগ রয়েছে, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক এক কাউন্সিলরের স্ত্রীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে হাতে নাতে ধরাও পড়ে সেই বিচার শালিস স্থানীয় আওয়ামীলীগের বহুনেতারা করেন। এমনকি পলাশ নগরে এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে ওই মহিলার ছেলেরা রনিকে বেধে মারধর করে। বর্তমানে বাউনিয়াবাধ এলাকায় মা এবং মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পকের রয়েছে। ওই বাসার সকল পুরুষ প্রবাসী বলে এই সুযোগ কাজে লাগায় সে। রনি এটাই নারী খেকো দুই বোনের সাথেই গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বিষয়টি দুই বোনের ভিতর জানাজানি হলে পানি রনি কে বেধে ঝাড়ু পিটান ও খেতে হয়। প্রতিরাতে নারী না হলে তার যেন ঘুম হয় না। সেই কারনে তার ব্যক্তিগত এক ঘটকের মাধ্যমে বিয়ে কথা বলে পাত্রি দেখে বেড়ান বিভিন্ন স্থানে। পাত্রী দেখে হাতে মোটা অংকের টাকা

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category