রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার বিডিআর বিদ্রোহের দিন কী ঘটেছিল, জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মইন জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল লুটের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ফয়জুল করীম লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে রংপুরে শহীদি মার্চ পালন ডিএমপির ১১ উপপুলিশ কমিশনারকে বদলি সচিবদের যেসব নির্দেশনা দিলেন ড. ইউনূস যে কারণে আরএকে সিরামিকের ত্রাণের ১০ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল বিএনপি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সমাবয় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা আত্তসাৎ এর অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০
  • ২০৫ Time View

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রংচী জনকল্যাণ মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির সভাপতি সামছুন নূরের বিরুদ্ধে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিল লুঙ্গা তুঙ্গা জলমহালটি ওই ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ নিয়ে ওই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির আব্দুল রেজ্জাক ও মো. সুরুজ আলী নামের সদস্য ইমেইলের মাধ্যমে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। ইউএনওর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও অভিযোগকারী সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বিল লুঙ্গা তুঙ্গা ১৪২৫বঙ্গাব্দ থেকে ১৪৩০বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ছয়বছর মেয়াদে বাৎসরিক ১৮লাখ ১১হাজার ৬১৩টাকা ইজারামুল্যে এটি রংচী জন কল্যাণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নামে ইজারা পায়। সকল সদস্যদের কাছ থেকে প্রথম বছর টাকা নিয়ে সমিতির সভাপতি এই জলমহালটির ইজারামুল্য পরিশোধ করেন। পরে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সমিতির কয়েকজন সদস্যকে ম্যানেজ করে এই জলমহালটি তাঁর আপন ছোট বোন জামাই ওই ইউনিয়রেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদূর রহমানের কাছে এটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সমিতির কোনো সদস্যই এই জলমহালটির ভোগ দখলে থাকাতো দূরের কথা এর আশপাশেও নেই। রংচী জনকল্যাণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুল রেজ্জাক বলেন, আমরার সমিতির সভাপতি সামছুন নূর সমিতির কয়েকজন কয়েকজন সদস্য লইয়া এই বিলডা তাঁর বোন জামাই সাইদুরের কাছে বেইচ্চা হালাইছে। সমিতির সভাপতির কাছে দুই বছর আগে জলমহালটির খাজনা ও অন্যান্য খরছ মিডানির লাইগ্যা দুই বছর আগে আমরা দুইজন দেড়লাখ কইর্যাছ টেহা দিছি। সভাপতির কাছে কুনু হিসাব চাইলে দেয় না। আমরারে সমিতির কুনু সদস্য ওই বিলে নাইগা। তদন্ত করলে ঘটনাডার সত্যতা মিলব। সমিতির সভাপতি সামসুন নূর বলেন, দুই একজন ছাড়া সমিতির বেহেই আমরা এক আছি। এই দুজনের কাছ থাইক্যা আমি কুনু টেহা নিছি না। কোনোরহম সুবিধা লইয়া আমি এই বিলডারে আমার ছোট বোন জামাই সাইদুর চেয়ারম্যানে কাছে বিক্রি করি নাই। সাইদুর রহমান আমার আপন ছোট বোনজামাই। সমিতির খাজনা ও অন্যান্য খরচ তিনিই দেইন। তয় বছর শেষে আমরার সমিতির নামে ১৫/২০হাজার টাকা হেইন আমরার সমিতিডারে দেইন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, জলমহালটি আমি কিনে নিইনি। স্থানীয় একটি মহল আমাকে বিপাদে ফেলার জন্য এ ধরণের মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category