কর্মসংস্হান কর্মসূচী (ইজিপিপি) এর আওতায় অতিদরিদ্রের জন্য সরকার ৪০ দিনের কর্মসূচীর প্রকল্প গ্রহন করেন, যা সারা বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ করে সফল হলেও মাগুরার সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে অনিয়মের কারণে নষ্ট হচ্ছে বর্তমান এ সরকারের ভাবমূর্তি।
পাশাপাশি এই কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার অতিদরিদ্র মানুষও। সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহে থেকে ইউনিয়নে ৪০ দিনের এই কর্মসূচীর কাজ শুরু হয়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি সাইডে ৩৫ থেকে ৪০ জন অতিদরিদ্র লোক নিয়োগ করার কথা থাকলেও কাজের পিআইসিরা সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ জন লোক দিয়ে কোন মতে দায়সারা মত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর মাঝে আবার কোন কোন দিন মোটেও কোন শ্রমিকই থাকেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামুড়া ইউনিয়নে দূর্নীতিবাজ কিছু জনপ্রতিনিধিদের পকেট ভারী করতে চলছে এসব অনিয়ম।
তিনি আরো জানান, হতদরিদ্র শ্রমিকরা ২০০ টাকা মাথা পিচু কাজ করে তাও আবার ঠিকমত কাজের টাকা না পেয়ে কেউ ধার করে সংসারের ভরণপোষণ চালায়৷
আবার কেউ কেউ অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করে। এসব বিষয় নিয়ে কর্মসূচীর কাজের এক সরদাররের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন যত দেরিতে টাকা ওঠায় তত মেম্বার চেয়ারম্যনদের লাভ হয়।
কারণ শুনেছি একবার টাকা ওঠালে কাজের ট্যাগ অফিসার সহ অনেক অফিসারকে এই টাকার ভাগ দিতে হয়৷ তাই ৪০ দিনে দুইবার ওঠালে তাদের লাভ বেশি হয়।
এ জন্য খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কষ্ট পাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে এসব অনিয়মের খবরে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয় ৷
এবিষয়ে কাজের পিআইসি কনক বালা,ইমরোজ ও বাবুল হোসেন মোল্যা সহ আরো কয়েকজন মেম্বরদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ধান কাটা লেগেছে তাই কাজের মানুষ পাওয়া যাচ্ছেনা৷
এভাবেই কাজ চলবো তা আপনাদের কি? প্রত্যেকটি সাইডের কাজের সরদাররা জানান প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক থাকার কথা কিন্তু বর্তমান ধান কাটা লেগেছে বলে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা কি আর করা যা ৫/৭ জন পাওয়া যায় তাই দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি ৷
এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি (ট্যাক) অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বজেন্দ্র নাথ এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন আমি কাজে শ্রমিক বাড়ানোর কথা বলেছি কিন্তু কাজের সভাপতিরা বাড়াচ্ছেন না৷
বিষয়টি আমি পিআইও মহোদয়কে বলেছি তিনি বলেছেন সাইডে যে কয়জন শ্রমিক কাজ করবে সেই কয়জনের বিল দেওয়া হবে ৷
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেনের বক্তব্য নিতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি৷
এব্যাপারে সচেতন মহল হতদরিদ্র মানুষের কর্মসৃজনের ‘কাজে দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply